স্বামী বিদেশে থাকায় দেবরের কুপ্রস্তাব

প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩

ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের ইসরাত জাহান উর্মি (১৯) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দেবর রায়হানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।

৭ নম্বর ওয়ার্ড পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ হত্যাকে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা।

অভিযুক্তরা হলেন— দেবর রায়হান (২০), ননদ রুনা বেগম (৩০) ও শাশুড়ি জাহানারা বেগম (৪৫)।

আরও পড়ুন অবশেষে জয়াকেই বেছে নিলেন সৃজিত

এ ঘটনার আট দিন অতিবাহিত হলেও একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আবু আহমদের ছেলে প্রবাসী মিজানুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় উর্মির। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতে গৃহবধূর স্বামী প্রবাস থেকে মা ও ভাইবোনকে দিয়ে উর্মিকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে চাপ সৃষ্টি করে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।

নিহত গৃহবধূর মা মনোয়ারা বেগম জানান, বিয়ের সময় ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নগদ অর্থসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার উপহার দেওয়া হয়। মেয়ের জামাই দেশে না থাকায় এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার দেবর রায়হান সবসময় আমার মেয়েকে মোবাইলের মাধ্যমে অনৈতিক প্রস্তাব দিত এবং আমার মেয়ে উর্মিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করত দেবর।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হুদা জানান, উর্মির লাশ খাটের ওপর লাল কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ছিল এবং শরীরে আঘাতের চিহ্নও ছিল। গৃহবধূ উর্মিকে যে বিছানায় ফেলে রাখা হয়েছিল, সেই বিছানায় প্রস্রাব করার আলামতও দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, আসলে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার মতো কোনো আলামত আমরা দেখিনি। আসল ঘটনা হলো— গৃহবধূকে বিভিন্ন সময় তার দেবর রায়হান অনৈতিক প্রস্তাব দিত। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই বাগবিতণ্ডা হতো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বেলাল জানান, গৃহবধূ উর্মিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়নি, তার লাশটি খাটের ওপর কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল।

ফেনীর মডেল থানার ওসি শহীদুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার একটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। – যুগান্তর

Loading