সাতকানিয়ায় নৌকার পরাজয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২

সদ্য সমাপ্ত সাতকানিয়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোসাদ হোসেন চৌধুরীর পরাজয়ের কারন বিশ্লেষনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। পরাজিত প্রার্থী ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোসাদ হোসেন চৌধুরীকে সাথে নিয়ে ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদাক মোরশেদুর রহমান দুলু ১০ ফেব্রুয়ারী সকালে সাতকানিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি মুজিবুর রহমানসহ বেশ কিছু নেতা নৌকার বিরোধীতা, নৌকার এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে করে দেয়ার মত গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন। ঐ সংবাদ সম্মেলনে নৌকার বিরোধীতাকারী সভাপতি মুজিব,সহ সভাপতি লোকমান হাকিমসহ বেশ কয়েকজনের নাম উত্থাপন করে তাদের দল থেকে বহিস্কার না করলে ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতা কমিটি থেকে পদত্যাত করার কথাও জানানো হয়। এর ঠিক একদিন পর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন মুজিবুর রহমানসহ অভিযুক্ত নেতারা। তারা সংবাদ সম্মেলন করে দলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুর রহমান দুলুকে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সাথে কোন রকম সর্ম্পক না রাখা ও জামায়াত-বিএনপি প্রীতির কারনেই নৌকার প্রার্থী মোসাদ হোসেন চৌধুরী পরাজয় হয়েছে বলে দাবী করেন। মুজিবুর রহমানের দাবীর বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোসাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি গতবারেও দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম। এইবারও দলের মনোনয়ন পেয়ে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী আমার পক্ষে কাজ করেন। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পরিবর্তণ হয় সভাপতি মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি লোকমানি হাকিমসহ তাদের বলয়ে থাকা নেতাকর্মীদের ভূমিকা। ভোটের দিন ৬ নং ওয়ার্ড থেকে আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার মাধ্যমে সভাপতি মুজিবুর রহমানের আসল রূপ প্রকাশ পায়। তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার কারনেই খুব কম সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে আমাকে পরাজয় করানো হয়েছে। আমি দল থেকে তাদের বহিস্কার দাবী করছি। তার দাবীর সাথে মিল রেখে সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুর রহমান দুলু বলেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি নৌকার প্রতীতের পক্ষে কাজ করবে এটিই অত্যান্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু সভাপতি মুজিবুর রহমান তা না করে তার সাথে আরো বেশ কিছু নেতাকর্মীকে নিয়ে নৌকাকে ডুবানোর জন্য কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক এজেন্টকে বের করে দেয়। তার বিরুদ্ধে যদি দল ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী একসাথে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। ছদাবা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারনেই মূলত পাল্টা পাল্টি অভিযোগ গুলো আসছে। দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত হলেও সবাই সফলতার ভাগিদার হতেন। পরাজয়ের ভাগটা আসলেই কেউ কাধেঁ নিতে চাইনা। আমরা অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখে সাংগঠনিক নিয়মেই ব্যবস্থা নিব।

Loading