নোয়াখালীতে ক্ষুদে বিজ্ঞানী মানুনের আবিস্কার “পদ্মা সেতু” রোবেট

আদনান সুবুজ আদনান সুবুজ

সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টর

প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ , আগস্ট ২৪, ২০২২

নোয়াখালী কবিরাহাট উপজেলা কালামুন্সিরহাট বাজার ২ নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের মালি পাড়া গ্রামের সাব্বির মাহমুদ মামুন নামের একাদশ শ্রেণীর এক ক্ষুদে বিজ্ঞানী তৈরী করলো পদ্মা সেতু নামক এক রোবট। তার তৈরী করা রোবেট অকেপটে কেহ জিঙ্গাসা করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং তার আবিস্কারক সাব্বির মাহমুদ মামুন এর নাম খুব সাবলীল ভাবে বলে দিতে পারে। এছাড়া এই রোবেট বলতে পারে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু এবং এর দৈর্ঘ ১০ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার । এছাড়া বাংলা মাধ্যমে কথা বলতে পারা এই রোবটটি দিয়ে করানো যাবে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।

মামুনের জন্ম নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার সুন্দরপুর খালুপাড়া গ্রামে। সেই মালেশিয়া প্রভাসি মোহাম্মদ মসজিদ এবং মারজাহান দম্পত্তির দুই ছেলে আর এক মেয়ের মধ্যে মামুন সবার বড় ।২০২০ সালে কবিরহাট সরকারি মডেল উ”চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে বর্তমানে সে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজে ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগে অধ্যায়নরত। অনেক আগ্রহ ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক মেলায় অংশ নিয়ে অনেক পুরস্কার জিতে নেয় সে । যার উদাহরণ ৪২ ও ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশ নিয়ে সে তার তৈরি স্মার্ট সড়ক,ডাস্টবিন ও জানালা উপস্থাটনা করে পরপর দুবার উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে হঠাৎ তার মাথায় আসে রোবট বানানোর চিন্তা । সেই চিন্তা থেকে মাত্র ছয় মাসের চেষ্টায় তৈরি করে ফেলেন এই রোবটটি। যার নাম দিযয়েছেন পদ্মা সেতু।

কবিরাহাট উপজেলা ধানসিড়ি ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনাপুর রহমান মুনাপ জানায়,বর্তমানে এই প্রত্যন্ত গ্রামে অধিকাংশ ছেলে নেশা দ্রব্য মাদক ও ভিবিন্ন সামাজিক অপরাদে যখন জড়িত ঠিক সেই সময় মামুন দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারা আমরা গ্রাম বাসি আনন্দিত।

মামুনের দাদা মোবারক মিয়া (৮০) জানায়, যখন আমি ঘরে ডুককাম তখন তখন দেখতাম মামুন কি যানি তৈরী করতেছে ,একদিন আমি জিঙ্গাসা করলাম মামুন তুমি মেসিন পত্র এগুলা কই থেকে আনো তোমার বাবার কাছেতো এমন টাকা পয়সা নাই ,তখন সেই বলে দাদা আমি এগুলা অনলাইন থেকে আনি আম্মা খরচের জন্য যেই টাকা গুলা দেই তা থেকে কিছু বাচিঁয়ে রাখি আর টিওশানির টাকা ,দুটাই মিলিয়ে যা হয় তা দিয়া হয়ে যায়। একদিন আমি ঘরে ডুকে দেখি,সেই মানুষের মত দেখতে কি যানি তৈরী করে পেলছে ,আমি জিঙ্গাসা করলাম এটা কি মামুন সেই জানাই আপনি দাড়ন সেই আপনার সাথে কথা বলবো,পরে দেখলাম রোবেট আমার সাথে কথা বলতেছে এবং আমার সাথে হাত মিলাতেছে । মাননীয় প্রধনমন্ত্রী কাছে আমার আকুল আবেদন আমার নাতির ই”ছা আছে ভবিষ্যতে সেই ড্রোন যুন্ধ বিমান তৈরী করতে চাই,উনি যেন আমার নাতির ই”ছা পূরনে এগিয়ে আসে ।

মামুনের সহপাটি রনি জানাই ,তার আবিষ্কৃত রোবটের পদ্মা সেতু দেখতে প্রতিদিন বাড়িতে ভীড় জমায় স্থানিয়রা। তার আবিষ্কারের মধ্যে যে রোবটি সেই আবিষ্কার করেছে রীতিমত এলাকায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছে ।
অনেক নামিদামি কোম্পানি অনেক ব্যয় আবিষ্কার করলেও এখানকার প্রতন্ত অঞ্চলে মামুনের এমন রোবট তৈরি করতে পারায় খুশি স্থানীয় ও স্বজনরা।

নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আবদুল আউয়াল বলেন,
প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঠিক প্রষ্ঠপোষকতায় মামুনের আবিষ্কারের নেশাকে অনেক দূরে নিয়ে যাবে তার এমন প্রত্যাশা করছেন ।

Loading