নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে সংঘঠিত একের পর এক চুরির ঘটনার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর ফারুক।

মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক উল্লেখ করেন বলেন, বিগত প্রায় ১১ বছর চর জব্বর ইউনিয়ন পরিষদ ছিল অপরাধীদের কাছে জিম্মি। চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। নির্যাতনের শিকার হয়েও সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে বিচার পায়নি। বরং বিচারের নামে লাখ লাখ টাকার সালিশ বাণিজ্য হয়েছে এই ইউনিয়নে।

সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তাঁর ইউনিয়নে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে। প্রথম দিকে তিনি ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে মনে করলেও সম্প্রতি চেউয়াখালী বাজারের কামাল ডাক্তারের দোকানে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি মো.সোহেলের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ইউনিয়নে চুরি করানো হচ্ছে মর্মে গোপন পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক তাঁর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও শান্তির স্বার্থে গ্রেপ্তার চোরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসা চুরিতে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাস বলেন, চুরি—ডাকাতিসহ সব ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে থানা—পুলিশের ‘জিরো ট্রলারেন্স’ নীতি রয়েছে। চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তির বিষয়ে তদন্ত চলছে।