আজ থেকে একাদশে ভর্তি শুরু

প্রকাশিত: ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন শেষে আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে ভর্তির কার্যক্রম। এ কার্যক্রম ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। একই সঙ্গে আগামী মাসে একাদশ শ্রেণির অনলাইন ক্লাস শুরু হতে পারে বলে জানা যায়। এর আগে আবেদন গ্রহণ, বাছাই, মাইগ্রেশনসহ অন্যান্য ধাপ শেষ করা হয়েছে। গত ৯ আগস্ট শুরু হয়েছিল ভর্তির আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হতে পারে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে শুধু অনলাইনে এই ক্লাস চলবে। সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সরাসরি ক্লাস নেয়া যাবে।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানা যায়। এর আগে এ ভর্তির কার্যক্রম ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলেও তা পরে বৃদ্ধি করে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। ভর্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা ইতোমধ্যে সরকার প্রকাশ করেছে। এরপরও ৮ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ও ভর্তিফিসহ সাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। আর ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।

ভর্তি নীতিমালা ও নির্ধারিত হারে ফি আদায় করতে মাদ্রাসাগুলোকে বলা হয়েছে। আর কোন মাদ্রাসা ভর্তি নীতিমালা না মানলে পাঠদানের অনুমতি, একাডেমিক স্বীকৃতিসহ তার এমপিও বাতিল করা হবে। এসব তথ্য জানিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে আলিমে ভর্তির নির্দেশনা জারি করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।

জানা যায়, গল বছর এ খাতে ফি নির্ধারিত ছিল ৩ হাজার টাকা। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে কমিয়ে বর্তমান ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট ফি ৪০ শতাংশ কমিয়ে ১২ টাকা করা হয়েছে। কোন শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে যথাক্রমে ১৫০ টাকা এবং ১০০ টাকা আদায় করা যাবে। সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে হবে।

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে ভর্তির সময় একাডেমিক ট্রান্স ক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্রসহ কোন প্রকার প্রামাণ্যপত্র জমা নিতে হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকার।

তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের আর্থিক অস্বচ্ছতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ সব ফি যত দূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে কলেজগুলোকে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সব দায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা বোর্ড।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

Loading