ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই সহ তিন প্রার্থীর ভোট বর্জন, পূনরায় তফসিলের দাবি

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ , মে ২৯, ২০২৪

ইফতেখাইরুল আলম,স্টাফ রিপোর্টার :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়ীর সম্মুখে ২৯শে মে সকাল ১০টার দিকে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস বিপিংয়ে ভোট বর্জনের কারনগুলা উল্লেখ করেন তিন প্রার্থী।

এ সময়  সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.শাহাদাত হোসেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মিজানুর রহমান বাদল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা বেগম পারুল সহ মোট তিন জন ভোট করেন।প্রার্থীদের অভিযোগ সকাল ৮ টার পূর্বে থেকে কোম্পানিগঞ্জ পৌরভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে,প্রতিটি কেন্দ্রের ভিতরে এজেন্টদের কাগজপত্র ছিড়ে ফেলে তাদেরকে কেন্দ্র থেকে গাড় ধাক্কা দিয়ে  বের করে দেওয়া হয় এবং তিনি নিজে মেয়র হয়েও সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে ব্যালটে সীল মেরে বাক্স ভর্তি করে ফেলেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করার পরেও প্রশাসন কোন আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি।ভোটের আগের দিন রাতে মোটর সাইকেল বাহিনী বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিভিন্ন ভাবে হামলার,হুমকি ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় এতে যেন ভোটররা আতঙ্ক হয়ে ভয় ভিতি পেয়ে কেন্দ্রে না আসেন ভোট দিতে।চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.শাহাদাত হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পুনরায় তফসিল ও নির্বাচন দাবী করে সাংবাদিকদের বলেন,সব চেয়ে বড় দুঃখের বিষয় হলো আমি নিজে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ভোট দিতে পারিনি।মেয়র কাদের মির্জা ও তার ছেলে তাশিক মির্জা আমাকে ভোট দিতে দেননি।কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করে বলেন,ভোটের আগেও এখানে ভোটের কোন পরিবেশ ছিল না, ভোটারদের কাছে প্রচার প্রচারনায় যেতে পারিনি।প্রার্থী হয়ে উপজেলায় স্বাধীন ভাবে ভোটারদের কাছে কোন মতামত প্রকাশ করতে পারিনি। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে বেশ কয়েক বার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে আনারস মার্কা প্রতিক নিয়ে আমাদের ভোট এবং কর্মীদের ওপর হামলা,ভোট দিতে না দেয়া এবং উম্মুক্ত ভাবে ব্যালটে সিল মারা হচ্ছে।এ বিষয়টিও সহকারি রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওকে জানানোর পরেও তারা আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।সকাল থেকে নৌকা যোগে অনেক কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে নদীর মধ্যেই নৌকায় থাকা অবস্থায় আনারসের সমর্থকদের উপর হামলার শিকার হয়ে অনন্ত কয়েক জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।তবে হতাহতের তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি।তিনি আরও বলেন,৮-১০টি অবৈধ গাড়ী নিয়ে মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা তার সন্রাসি বাহিনী নিয়ে বেআইনী ভাবে অস্ত্র নিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে বলে ও অভিযোগ করেন তিনি।কেন্দ্র দখল করে আনারস এর প্রতিক ব্যাতিত অন্য প্রার্থী প্রতিকে ভোট দিতে দিচ্ছে না।এতে ওবায়দুল কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন  ব্যক্তিগত ইমেজ রক্ষার স্বার্থে আবার পূনরায় তফসিল ও  নির্বাচনের দাবী করছে।

Loading