নোয়াখালী ও বালাগঞ্জে ৭ গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৪

প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ণ , মে ৩১, ২০২৪
????????????????????????

নোয়াখালী সদর ও সিলেটের বালাগঞ্জে বুধবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর সহিংসতায় সাত গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নোয়াখালীতে ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

এসময় পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসারের ওপর হামলা করে নির্বাচনি মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে ৫ গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। বালাগঞ্জে ভোটগণনা কক্ষে দুই প্রার্থীর এজেন্টদের বাগবিতণ্ডার জের ধরে বাইরে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নোয়াখালী : জানা যায়, সন্ধ্যায় আনারস প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার পর নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে কর্মকর্তারা রওয়ানা করলে কেন্দ্রের বাইরে পরাজিত (মোটরসাইকেল) প্রার্থীর সমর্থকরা ‘ফলাফল মানি না’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসারের ওপর হামলা করে পুলিশের অস্ত্র ও নির্বাচনি মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

খবর পেয়ে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা সেখানে এলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন-সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ উল্যার ছেলে আব্দুল মান্নান, শাহ আলমের ছেলে মামুনুর রশিদ মান্না, মো. হানিফের ছেলে রাকিব, আবুল কালামের ছেলে মো. কবির, একই গ্রামের রফিক উল্যার ছেলে মো. জামাল। তারা সবাই বিজয়ী প্রার্থী এ কে এম সামছুদ্দিন জেহানের সমর্থক বলে জানা যায়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ গুলি চালায়। এ ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে মামলা করবে।

বালাগঞ্জ (সিলেট) : উপজেলার মাকড়সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনহার মিয়া ও মোস্তাকুর রহমান মফুরের এজেন্টদের মধ্যে ভোটগণনা নিয়ে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। তখন দুই প্রার্থীর এজেন্ট ভোটগণনা কক্ষ থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। এ সময় এজেন্টরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে দিলে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত স্টাইকিং ফোর্স গুলি ছোড়ে।

এতে জালাল ও আলম নামে আনারস প্রতীকের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। জালালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইটিং অফিসার বললেন, প্রদক্ত ভোট ১০২২টি কিন্তু গণনায় ১০৭১টা পাওয়া যায়। পুনরায় গণনার কথা বললে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা হয়।

বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদিউজ্জামান বলেন, ভোটকেন্দ্রে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছে

দৈনিক যুগান্তর

Loading