বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ , জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাকিপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক মামুনুর রশিদকে (২০) হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু সোহাগকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার বিকালে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে মামুন হত্যার ঘটনায় আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন।

নিহত মামুন ও গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ দুইজন পেশায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেন আসামি সোহাগ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, অটোরিকশা চালানোর সুবাদে গত ১ বছর পূর্বে মামুনুর রশিদের সাথে পরিচয় হয় আরেক অটোরিকশা চালক সোহাগের। এরপর থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে তারা দুজন বিভিন্ন সময় একসঙ্গে গাঁজা সেবন করতো। গত ২২ জানুয়ারি সোহাগ মোবাইলে মামুনকে জানায় রাতে তারা একসঙ্গে গাঁজা সেবন করবে।

পরে মাধবসিংহ গ্রামের গাজী আলা উদ্দিনের বাড়ির পশ্চিম পাশের সুপারি বাগানে সিগারেট নিয়ে আসে সোহাগ। পরে দুজন মিলে দুই স্টিক গাঁজা সেবন করে। এর একপর্যায়ে সিগারেট নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

হাতাহাতির একপর্যায়ে সোহাগকে পা থেকে স্যান্ডেল খুলে ছুঁড়ে মারে মামুন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে মামুনের মাথায় আঘাত এবং অন্ডকোষে লাথি মারে সোহাগ। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইটের টুকরাটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায় সোহাগ।

গত ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাগান থেকে মামুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মামুনের বাবা কবির হোসেন বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় পুলিশ শনিবার রাতে প্রথমে সুবর্ণচরে অভিযান চালিয়ে নিহত মামুনের বন্ধু সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে মামুনের ব্যবহৃত জুতা, একটি মানিব্যাগ, ইটের টুকরা ও এক পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে রোববার দুপুরে মামুন হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজগঞ্জ-ছয়ানী সড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এসময় একটি বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় লোকজন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামির শাস্তির দাবি জানান।

Loading