নোয়াখালীতে যৌতুকের দায়ে গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:২৫ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ১২, ২০২৩

ইফতে খাইরুল আলম,স্টাফ রিপোর্টার

নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দায়ে এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা টি ঘটেছে গত শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামে।

এ ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আগুনে তার শরীরের প্রায় ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর ইউসুফ আলীর মেয়ে ভুক্ত ভোগী নাজমা আক্তার(২০)।

বিগত ৫ বছর আগে বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে রাসেলের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় নাজমা আক্তারের।বিয়ের পর পরেই রাসেলকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দেয় নাজমার পরিবার।পরে গত ৬ নভেম্বর সিএনজিচালিত অটোরিকশা কেনার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে নাজমাকে বাপের বাড়ি পাঠায় রাসেল।বাবার বাড়ি থেকে নাজমা আক্তার টাকা ছাড়া খালি হাতে আসার কারনে শনিবার দুপুরে তার স্বামী রাসেল তার ঘরের আসবাবপত্র ভাঙতে থাকে। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল স্রী নাজমা আক্তারের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ সময় বাড়ির স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে নাজমা আক্তারকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে বাধা দেয় রাসেল।পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুক্তভোগীর শরীরের অবস্থা আংশ্খা জনক দেখে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো.ইস্তিয়াক হোসেন বলেন,’আগুনে নাজমা আক্তারের শরীরের প্রায় ২৫ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে।আগুনে তার বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফোসকা দেখা দিয়েছে।উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করতে হবে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন,খবর পেয়ে হাসপাতালে ভুক্তভোগীকে দেখার জন্য থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Loading