বেগমগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ , আগস্ট ২৬, ২০২৩

ইফতেখাইরুল আলম,স্টাফ রিপোর্টার

১৫ ই আগষ্ট ৪৮তম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উর্দ্যেগে ২৩ ই আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে জামাল উদ্দিন অডিটোরিয়ামে,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বেগমগঞ্জ-৩ সংসদ সদস্য মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরন। এ সময় কুরআন তেলওয়াত ও দোয়া মাহফিল মুনাজাত শেষে একলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে,প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মামুনুর রশীদ কিরন বলেন,রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই।আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হয়ে আমাদের নেএী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালি করে এ দেশের উন্নয়নের দ্বারাকে অব্যহত রাখতে আবারও পূনরায় শেখ হাসিনা সরকারকে নৌকায় ভোট দিয়ে প্রমান করবো,আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শেখ হাসিনার সৈনিক। একলাশপুর ইউনিয়নে উন্নয়নের ছোঁয়ায় লেগে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাঁচা-পাকা রাস্তা-ঘাট,প্রাইমারি,হাইস্কুল সহ মাদ্রাসার ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে এবং আমার জানা মতে আরও অনেক উন্নয়ন মৃলক কাজের টেন্ডার বের হচ্ছে।এখনো যে সকল রাস্তা ঘাটের কাজ বাকি আছে,তা নির্বাচনের আগেই সম্পূর্ণ হবে। তিনি বলেন,আগামী দিনেও আমাদের মধ্যে ভুল বুঝা-বুঝি হতে পারে,আমি আপনাদের সকলের প্রতি অনুরোধ করবো। আগামী সংসদ নির্বাচনেও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে নৌকা পাঠাবেন,আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেএীর হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকায় ভোট দিবো এবং আবারও পূনরায় শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবো। তখন আমাদের এখানে যদি আওয়ামী লীগের দলীয় কোন এমপি না থাকে,তাহলে আমাদের দূর্ভাগ্য আর হতাশা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।নির্বাচন আসলেই আমরা অনেকে অনেক কথা বলে থাকি,যেটা গত নির্বাচনের আগে ও বলেছি।কেউ বলবেন নমিনেশন সে পেয়েছেন আবার কেউ বলবে ২ টাও পেয়েছেন।কেউ বিক্রি করবেন বলে ও বেড়াবেন।সুতরাং সিলে কান নিয়ে গেছে,কানের পিছে না দৌড়ে নেএী যাকে সত্যিকারের দায়িত্ব দিয়েছেন।আমরা সকলে তার পিছে দৌড়ি এবং তার পক্ষে নৌকা নিয়ে কাজ করি। তিনি আরও বলেন,গত কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন,জেলা,উপজেলা সহ প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছাত্র-লীগ,যুব-লীগ,সেচ্ছা সেবক-লীগ এবং মহিলা-লীগ,কৃষক-লীগ,শ্রমিক লীগ,আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন গুলোকে নির্বাচনের আগেই গুছাইতে হবে। তাহলে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাড়া ও একলাশপুর ইউনিয়নে পুরুষ থেকে মহিলা ভোট বেশি রয়েছে,তাদেরকে দিয়ে অবশ্যই কাজ করাতে হবে। ভোটের দিন আমার মা-বাবা,ভাই-বোন,ছেলে,মেয়ে ও ছেলের বউ,মেয়ের স্বামী এরা কোথায় ভোট দেয়,আমরা তা কেউ দেখি না জানি না। সুতরাং আমাদের মা বোনদের খেয়াল রাখতে হবে,যে আমার পরিবার সহ পরিবারের সদস্যরা ভোট গুলো কি সঠিক ভাবে নৌকায় দিচ্ছে কি না। স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের শক্তির নৌকা মার্কা নিয়ে আমি আপনাদের সহযোগিতায় আগামী নির্বাচনে অবশ্যয় নৌকাকে জয় যুক্ত করবেন।নৌকায় ভোট দিলে আমরা আবার ও পূনরায় শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারবো। এ দেশে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সকল জঙ্গি সংগঠন গুলো আবার পূনরায় একএিত হচ্ছে।কোন রকমে যদি তারা ক্ষমতায় যেতে পারে। বিনা-মূল্যে বই বিতরণ বন্ধ করবে,প্রাইমারি স্কুলে ১০০% উপবৃত্তি স্কুল-কলেজের উপ-বৃত্তির টাকা বন্ধ করে দিবে এবং ১০ টাকা দামের চাউল এখন ১৫ টাকায় খাচ্ছেন। আপনাদের জন্য নেএী ৪৪ টাকার করে চাউল কিনে ১৫ টাকায় দিচ্ছেন।তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার আনাচে কানাচে এতো রাস্তা এতো ব্রিজের উন্নয়ন করছেন। শুধু তা নয়,উন্নয়নের ছোঁয়ায় আজ একলাশপুরে দেখেন,ফুট ব্রিজ ও হারুনুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়,হাইস্কুল,প্রাইমারি স্কুল,একলাশপুর ফাজিল ড্রিগ্রি মাদ্রাসা এবং দৃষ্টি-নন্দন রোড ঘাটের ব্যপক উন্নয়ন করেছে শেখ হাসিনা সরকার। এ বেগমগঞ্জ উপজেলাতে আমার জানা মতে, উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি এমন কোন এলাকা নেই। তিনি আরও বলেন,আপনারা শুধু একবার শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখেন এবং ভাবেন।আমি দেখেছি,আমার নির্বাচনীয় প্রতিটি এলাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এখনো দ্বিধা দন্দ রয়েছে। তা না হলে,বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন মিলিয়ে এখানে লোক হওয়ার কথা ছিল কয়েক হাজার।এর মধ্যে একলাশপুর ইউনিয়নে প্রায় ৩৮ হাজারের উপরে ভোটার রয়েছে। নির্বাচন আসলে বুঝা যায় যে,এই ইউনিয়নটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও মারাত্মক বিপদজনক ইউনিয়ন।মনে রাখবেন,আর এই ইউনিয়নে আমরা যদি নির্বাচনে হেরে যাই,তাহলে ৫টি ইউনিয়নে আমাদের ভোট কাবারেজ হবে না। তাই আসুন,আমরা সকলে সকল দ্বিধা-দন্ড ভুলে গিয়ে।শেখ হাসিনা সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালীতে রুপান্তরিত করি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি। জানি শোকের মাসে এতো কথা বলা উচিত হয়নি। তারপর না বললে নয়!আপনারা যারা এখানে উপস্থিত আছেন,তাদেরকে আমি আবার ও অনুরোধ করে বলছি। শোককে-শোকের শক্তিতে পরিনত করতে হবেই আমাদের।নেতা-কর্মীরা অসুস্থ হলে বা মার খেলে তাদের পাশে না গিয়ে,উল্টো আমরা দুর থেকে বলি আরও বেশি করে দিলি না কেন।এটা আমাদের একেবারে ঠিক নয়। তাই আসুন,আমরা সকলে মিলে একে অপরের কাঁদে হাত রেখে সকল দ্বিধাদন্দ ভুলে গিয়ে,পূনরায় স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের শক্তি নৌকা মার্কার প্রতীক নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের দ্বারাকে অব্যহত রাখতে পূনরায় সরকার গঠন করি। এ সময় একলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মানুর সঞ্চালনায়,এমপি আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরন উপস্থিত আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

Loading