রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে আরসা কমান্ডার নিহত

প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১১, ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আরসা কমান্ডার নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ তিনজন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার উপজেলার ১৯ নম্বর আশ্রয় শিবিরের ব্লক এ-৮ এর তাজমিরখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া (৩৪) উখিয়ার তাজনিমারখোলা ১৩ নম্বর আশ্রয় শিবিরের ব্লক-ই/৩ এর নুরুল আমিনের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আব্দুল মজিদ হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদকপাচারসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনি আরসার কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও অপারেশন) মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড় ৯টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের ২০-২৫ জনের একটি দল ক্যাম্প-১৯ এর ব্লক এ-৮ এর আমিন মাঝির বাড়ির আশপাশের কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামিদা বেগমের ঘর ও আশেপাশের গলি ও পাহাড় থেকে ৪০-৫০ জন আরসার সশস্ত্র অস্ত্রধারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। প্রায় ২০-২৫ মিনিট গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের পর আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়ার মৃতদেহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মৃতদেহের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। আবদুল মজিদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত ৪টি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

এ সময় মোহাম্মদ তাহের (৪৫), জামাল হোসেন (২০)ও লিয়াকত আলী (২৫)নামের তিনজন আরসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

৮ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Loading