রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠকে দুই দেশই ইউক্রেনে উদ্ধুত মানবাধিকার সংকট অবসানে পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতিতে কোনও অগ্রগতি হয়নি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা তুরস্কের আন্তালায়ায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

কুলেবা বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করা, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘব এবং রুশ দখলদার বাহিনীর হাত থেকে ইউক্রেনের অঞ্চল স্বাধীন করার প্রয়াসে এই আলোচনা চালিয়ে যেতে আমি প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, তার বিশ্বাস, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বৈঠক করেন তখন তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা প্রশ্নে কথা বলার ম্যান্ডেট থাকে।

বিবিসি জানায়, ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পর কুলেবা বলেছেন, এ মুহুর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মারিওপোলে মানবিক করিডোর স্থাপন করা এবং চব্বিশ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা প্রয়োজন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই লাভরভ ক্রেমলিনে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দেবেন, যেন মারিউপোলে মানবিক করিডোর স্থাপনের জন্য কাজ শুরু করা হয়।

অন্যদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই লাভরভ রুশ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যুদ্ধের অগ্রগতি কী – এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি একটি ‘বিশেষ অভিযান’ যা ‘সার্বিক পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে’।

পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে লাভরভ অভিযোগ করেছে যে তারা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে ‘বিপজ্জনক আচরণ’ করছে। তিনি বলেছেন এটি ‘তাদের তথাকথিত নীতি ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে’।

রাশিয়ার অন্য কোন দেশে আক্রমণ করার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা – এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করেনি।

রুশ বাহিনীর দখলে থাকা শহরগুলো থেকে বেসামরিক নাগরিকরা যেন বের হয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে সাতটি ‘মানবিক করিডোর’ শুরু করছে ইউক্রেন, জানিয়েছেন ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরইয়ানা ভেরেশ্চুক।

মানবিক করিডোর এমন অঞ্চল, যেখানে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ চলাচলের সুযোগ দিতে সাময়িকভাবে সেনা কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর সুমি’র আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন যে শহর ছাড়তে চাওয়া মানুষ এরই মধ্যে ঐ অঞ্চল ছেড়ে বের হতে শুরু করেছেন এবং সেখানে স্থানীয়ভাবে যুদ্ধবিরতি চলছে।

ইউক্রেন ও রাশিয়া দু্ই দেশই মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে রাজি হয়েছে।