বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন ছয়টি রেল সংযোগ বাড়াবে ভারত

প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ , মার্চ ১০, ২০২২

ভারত নতুন ছয়টি রেল সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে। এভাবে প্রতিবেশীর সঙ্গে নতুন নতুন যোগাযোগ সৃষ্টি করে রেলপথ দক্ষিণ এশিয়ার পরিধিকে দ্রুত কমিয়ে আনছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বুধবার (৯ মার্চ) উত্তরাখণ্ডের মুসৌরিতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল একাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এলবিএসএনএএ) ভাষণ দিতে গিয়ে এসব জানান।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী ভারতের জন্য একটি অগ্রাধিকার, পাকিস্তান বাদে সমস্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই। আমাদের প্রতিবেশী দিয়ে বিশ্বায়ন শুরু হয়।
শ্রিংলা জোর দিয়ে বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে প্রতিবেশীরা প্রথম এবং সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার রয়েছে। এ অঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তর অর্থনৈতিক একীকরণ একটি সম্পূর্ণ পরিচয় তৈরি করতে পারে। তাই এই অঞ্চলে আমাদের নীতি কানেক্টিভিটি বাড়ানোর ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেয়। এ কানেক্টিভিটিগুলো হলো সরাসরি মানুষে মানুষে যোগাযোগ, অর্থনৈতিক, জ্বালানি এবং ডিজিটাল যোগাযোগ।
প্রতিবেশীর সঙ্গে সংযোগ কীভাবে আশ্চর্যজনক ফলাফল দেখিয়েছে তার বিশদ বিবরণ দিয়ে শ্রিংলা বলেন, প্রথমটি হল সংযোগ। সড়ক, জল, রেল এবং আকাশপথে আমাদের আশেপাশের কিছু অংশের মধ্যে সংযোগ ক্রমাগত উন্নত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ শিগগিরই ছয়টি রেল সংযোগের মাধ্যমে এবং ভারত ও নেপাল দুটি রেল সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতীয় পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের সাথে উচ্চ-ক্ষমতার সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে প্রায় ১১৬০ মেগাওয়াট, নেপালকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট এবং ভুটান থেকে ১.৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
ভারতও এই অঞ্চলে বিদ্যুতের ক্ষমতা তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভুটানে ২১০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ তৈরি করেছে। এটি আরও বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া ভারত বাংলাদেশে ১৩২০ মেগাওয়াটের মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রকল্প নির্মাণ করছে বলে জানান শ্রিংলা।

Loading