রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফ’র সন্দেহভাজন আরও ৭ জনকে কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ২৩, ২০২৪

বান্দরবান প্রতিনিধি,

বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহভাজন এক নারীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় গ্রেপ্তারকৃত ৭ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। বান্দরবানের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ.এস.এম এমরান জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।

যাদেরকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে তারা হলেন- লাল নুন নোয়াম বম (৬৮), লাল ডেভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান বম (৩২), ভান মুন নোয়াম বম (৩৩), লাল মিন বম (৫০)। তারা সবাই রুমা সদর ইউপির মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা। ভান বিয়াক লিয়ান বম (২৩) বান্দরবান সদরের লাইমি পাড়ার বাসিন্দা।

এদিকে ভান মুন নোয়াম বম বান্দরবানের রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এর আগে কেএনএফ’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার রুমা সদর ইউপির মুনলাই পাড়া থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। ভান বিয়াক লিয়ান বমকে বান্দরবান মিলনছড়ি পুলিশ চেকপোস্ট থেকে আটক করে পুলিশ। আজ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে এক নারীসহ ৭ জনকে রুমা অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত ২২ জন নারীসহ ৭৮ জনকে রুমা ও থানচি ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় ৯টি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।

উল্লেখ, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।

Loading