উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৮

প্রকাশিত: ৮:০২ পূর্বাহ্ণ , এপ্রিল ২৩, ২০২৪

শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতে জড়িত চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‍্যাব।

গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, কুমিল্লা ও ফরিদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সোমবার (২২শে এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৫ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চক্রের মূলহোতা জাকির হোসেন হাওলাদার (৪৭), অন্যতম হোতা মো. বাপ্পি মোল্লা (২০), মো. উসমান গনি মোল্লা (৩৩), শামীম হোসেন (২৯), মোহাম্মদ জিহাদ (৩৪), কাজী সাদ্দাম হোসেন ওরফে আমির হামজা (২৬), মো. আহাদ গাজী (২৪) ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে জয় (২৬)।

লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাউপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

একজন ভুক্তভোগীর মামলার বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ শে মার্চ রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন শালবাগান রাজশাহীর বিএনসিসি অফিসে অবস্থানকালে এক ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর থেকে মেয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাউন্টেট শাখায় কর্মরত মিজানুর রহমান বলে পরিচয় দিয়ে তার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ায় শিক্ষা উপবৃত্তির ২২ হাজার ৫০০ টাকা এসেছে বলে জানায়। ওই টাকা বাদীর একাউন্টে চলে যাবে সে জন্য একটি ব্যাংকের এটিএম কার্ডের ষোলো ডিজিটের নম্বর চান। পরে তিনি তার ষোল ডিজিটের নম্বর দেন। এরপর ওটিপি যাবে বলে জানায়। পরবর্তীতে বাদী মোবাইল মেসেজ অপশনে দেখতে পায় বাদীর একাউন্ট থেকে চার বারে এক লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সারা দেশে এই চক্রের ২ হাজারের বেশি সক্রিয় এজেন্ট বা সদস্য রয়েছে। যারা প্রতি হাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমিশনে প্রতারণার কাজ করে। এজেন্ট হতে হলে দিতে হয় অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা। চক্রটির সঙ্গে জড়িত একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিম কার্ড বিক্রেতারাও।

তারা অন্যের নামে সিম রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম বা বিক্রি করা সিম সংগ্রহ করে প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার এ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলে।

Loading