এতিমের সম্পদ দখলের চেষ্টা, লুটপাট ও মামলায় হয়রানির অভিযোগ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ৪:৪৪ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ২৩, ২০২৪

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গরীব অসহায় এতিমের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা, লুটপাট, মামলায় হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবীর বিরুদ্ধে। ঘটনার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যগণ আদালতে তার দায়ের করা মামলায় দিনের পর দিন কারাগারে জীবন যাপন করছে। জমি উদ্ধারে নানা মহলের দ্বারে দ্বারে ভুক্তভোগী পরিবার ঘুরলেও পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবীর অবৈধ তৎপরতায় তার কোন সুরাহা হয়নি।

জানাগেছে নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীরবন্দর কলেজ পশ্চিম পাড়া সংলগ্ন স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে কিসমত নশরপুর মৌজার তফশীল ভুক্ত সম্পত্তি ১৬৭৮ খতিয়ানের ৩০৪৬/৩০৪৭ দাগের ৮ শতক জমির উপরে ৪ শতক জমি আতাউর রহমান (৩৬) এর সহযোগিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবী হত্যার হুমকি দিয়ে ও ওই এলাকার সন্ত্রাসী ক্যাডারদের ব্যবহার করে বিধবা নারীর ওই জমি দীর্ঘদিন যাবত জবর দখল করে রেখেছে।

এ বিষয়ে নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী বিধবা নারী ফিরোজা খাতুন বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবীর দায়ের করা একের পর এক মিথ্যা মামলায় আমরা আজ নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া তফশীলভুক্ত শেষ সম্বল নিজস্ব সম্পত্তিতে অবৈধ ও অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে আমার দুই ছেলে এতিমের সম্পদ দখলের চেষ্টা, লুটপাটে মগ্ন হয়ে উঠেছে ওয়াজিদা খাতুন বেবী। তার এই অবৈধ তৎপরতা ও একের পর এক মিথ্যা মামলা থেকে আমরা মুক্তি চাই। বর্তমানে আমার দুইছেলে তার দায়ের করা একাধিক মামলায় নিয়মিত জেলে যাওয়া আসা করায় আমার ভিক্ষা করে খাওয়ার উপর্কম হয়ে উঠেছে

ফিরোজা খাতুনের একমাত্র মেয়ে সুমি আক্তার বলেন, আমাদের জমির উপর গেলেই ওয়াজিদা খাতুন বেবী তার সন্ত্রাসী ক্যাডার দিয়ে আমাদের শীলনতা হানীর চেষ্টা করে ও আমাদেরকে মারধর করে পাঠিয়ে দেয়। অসহায় ও গরীব হওয়ায় আমরা আর তার সাথে পেরে উঠতে পারছিনা।

জানাযায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবী তার সহযোগি আতাউর রহমানের স্ত্রী মন্জু আরাকে বাদী করে চিরিরবন্দর থানায় ও দিনাজপুর আদালতে গরীব ও অসহায় পরিবার সদস্যগণ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ এখন পর্যন্ত জমি সংক্রান্তসহ মোট ৬টি মামলায় মোট ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যা ওই বিধবা নারীর পক্ষে অসনীয় উঠেছে।

এ বিষয়ে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু হান্নান ছোটন বলেন, ওই অসহায় পরিবারের পক্ষে যেই কথা বলে সেই তাদের মামলার স্বীকার হয়। আমিও হয়েছি। এরকম মানুষ কখনো জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারে না।

রাণীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মো: খাদেমুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেবী আমাকেসহ ওই অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আসতেছে। আমার জানামতে তাদের কোন ওই জমির কাগজপত্র নেই। এর আগে চেয়াম্যানের কাছে ও চিরিরবন্দর থানায় বিচার হলে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। এ ব্যাপারে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াজিদা খাতুন বেবীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Loading