স্বাধীন দেশে অবৈধ অস্ত্রধারী সংগঠন থাকবে না: র‍্যাব মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১৭, ২০২৪

বান্দরবান প্রতিনিধি,
এই দেশ স্বাধীন দেশ। এবং বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন থাকবে, এটাই আমরা চাই না। নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসী কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জন্য শান্তির পথে ফিরে আসতে এখনো আলোচনার পথ খোলা আছে। যারা এই বিপদে গিয়েছেন, এই সমস্ত পথ ছেড়ে দিয়ে তারা যদি মনে করেন, এটা দেশের এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্যায় করেছি এমনটাই ভেবে নিজেরা আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তাদের জন্য পুনর্বাসন থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজন আমরা করবো। আমরা চাই তারা শান্তির পথে ফিরে আসুক।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা তিনটায় বান্দরবান সার্কিট হাউজের মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খোরশীদ হোসেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর যতক্ষণ শান্তির পথে না আসবে আমাদের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে লুট হাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই ব্যাপারে বিভিন্ন সংস্থার কাজ করছে। আমরা আশাবাদী অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হব।
গতকাল আটককৃত ত্রিপুরা সম্প্রদায়রা কুকেচিন সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নেই, কেন তাদের আটক করা হয়েছে? এমন প্রশ্নে তিনি উদাহরণ তুলে ধরেন, একটা পুকুরে জাল ফেলে যখন বড় মাছ ধরতে যায়, সেই জালের বড় মাছের পাশিপাশি অনেকগুলি বিভিন্ন মাছ সেই জালে আটকা পড়ে। ঠিক তেমনি বিভিন্ন তথ্য ভিক্তিতে তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। কেননা তাদের সাথে সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ থাকতে পারে। তারা চিহ্নিত বা দেখিয়ে দিলে আমাদের জন্য সন্ত্রাসীদের আস্তানা অভিযান করার আরো সহজ হবে বলে মনে করি।
র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আমরা শান্তি চাই। সরকার প্রধান পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির প্রতিষ্ঠা জন্য সেনাবাহিনীর প্রত্যাখ্যান করেছে। যাতে পাহাড়ী অঞ্চলে সকল জাতিগোষ্ঠীর শান্তিতে বসবাস করুক। কিন্তু পাহাড়ের অশান্তি সৃষ্টি তৈরী হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না। তাই আমরা চাই তারা (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি মাধ্যমে আলোচনায় এসে আবারও শান্তির পথে ফিরে আসুক।

এসময় পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, জেলা প্রশাসক শাহ মোহাজিদ উদ্দিনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উর্ধতন কর্মকর্তা উপিস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি রুমা ও থানচি মসজিদ, উপজেলার পরিষদ ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাস্থলে পরিদর্শনের করেন। পরে বান্দরবানে সার্কিট হাউজের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা উর্ধতন কর্মকর্তাদের মাঝে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি।
উল্লেখ, চলতি মাসে ২ ও ৩ এপ্রিল রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে। টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পাহারায় থাকায় পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। পনেরো ঘন্টার মাথায় দিন দুপুরে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি করে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অপহরণের দুইদিন পরে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে রুমা থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।

এ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে ১৮ জন নারীসহ ৬৩ জনকে থানচি ও রুমার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।

Loading