অবশেষে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিল মিসর

প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ২১, ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ অঞ্চল গাজা ও মিসরের সীমান্তে যোগাযোগের একমাত্র পথ রাফাহ ক্রসিং। সেই ক্রসিং খুলে দিয়েছে মিসর। তাতে মিসর থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও কোনো ফিলিস্তিনি যেতে পারছেন না মিসরে। আজ শনিবার সকালে রাফাহ ক্রসিংয়ের মিসরীয় নিরাপত্তারক্ষী ও মিসরীয় রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরীয় রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তারা ত্রাণবাহী ট্রাকের গাজায় প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কত ট্রাক ত্রাণ গিয়েছে এবং সেই সব ট্রাকে কী রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি। মিসরের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও থেকে দেখা গেছে বেশ কয়েক ট্রাক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করছে।

তবে গাজার নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাসের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, ‘ত্রাণ বহনকারী যে গাড়িবহরটির আজ গাজায় প্রবেশের কথা ছিল, তাতে মোট ২০টি ট্রাক রয়েছে। এসব ট্রাকে ওষুধ, বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সামান্য পরিমাণ খাদ্যসহায়তা এসেছে।’

গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের পর এটা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। শুক্রবারের মধ্যে সীমান্ত দিয়ে ত্রাণসামগ্রী গাজায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের হামলায় গাজার হাজার হাজার সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখ নাগরিক। গাজায় স্থল হামলা করার হুমকি দিয়ে নাগরিকদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। এরপর অনেকে মিসর ও গাজার রাফাহ সীমান্তে যেতে শুরু করেছে। অন্য সব সীমান্ত আপাতত বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। একমাত্র পথ হিসেবে রাফাহ সীমান্ত রয়েছে গাজাবাসীর জন্য।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, যুদ্ধের গত ১৪ দিনে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাড়ে ১৩ হাজার।

Loading