বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়ার ওপর ‘ঘনিষ্ঠ নজর’ রাখবে ভারত: নয়াদিল্লি

প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ , এপ্রিল ২৬, ২০২৪
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (ফাইল ছবি)

প্রথমবারের মতো সামরিক মহড়া করতে চলেছে বাংলাদেশ ও চীনের সেনাবাহিনী। আগামী মে মাসে যৌথ এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতে পারে। এদিকে আসন্ন এই মহড়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

দেশটি বলছে, বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়ার দিকে ‘ঘনিষ্ঠ নজর’ রাখবে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একথা জানিয়েছেন।

এর আগে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্ভাব্য যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ করে চীনের বার্তাসংস্থা সিনহুয়া ও পিপলস ডেইলি। আগামী মে মাসে ওই মহড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এতে খবর প্রকাশ করা হয়।

চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা সিনহুয়া বৃহস্পতিবার জানায়, যৌথ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি মে মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশে একটি দল পাঠাবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ও শান্তি স্থাপনের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের যে ব্যবস্থা রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে এই যৌথ প্রশিক্ষণে উভয় পক্ষ একটি সমন্বিত প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করবে। তারা যৌথভাবে বাস থেকে জিম্মিদের উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী ক্যাম্পে অভিযানের মতো মহড়ার আয়োজনও করবে বলে সিনহুয়া জানিয়েছে।

এই মহড়া হবে চীনা ও বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রথম যৌথ প্রশিক্ষণ। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ধরনের কার্যকলাপ দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্ব বৃদ্ধি এবং বিনিময় ও সহযোগিতাকে গভীরতর করার জন্য সহায়ক।

এমন অবস্থায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক মহড়ার প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন।

জবাবে তিনি বলেন: যৌথ সামরিক মহড়া সম্পর্কে আপনার প্রশ্নগুলোর বিষয়ে (যা বলব), আপনি আমাকে এই মঞ্চ থেকে বেশ কয়েকবার এটি সম্পর্কে বলতে শুনেছেন: আমরা আমাদের প্রতিবেশী এবং এর বাইরের অঞ্চলে ঘটতে থাকা সমস্ত ঘটনার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখি। এটি আমাদের স্বার্থ, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা স্বার্থকে প্রভাবিত করতে পারে। এবং (পরবর্তীতে) আমরা সেই অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিই

Loading