কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিআরটিসি বাসে(লাল বাস) বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ছাতার।
গতকাল সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ৫ টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির মাঝে বিআরটিসির ৩ নং বাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে যায়। বাসটিতে জানালা ও বাসের উপর থেকে পানি আসতে থাকে । অন্যদিকে বাসটিতে সিটের অবস্থাও ছিল নাজেহাল। প্রায় প্রতিটি সিট বৃষ্টির পানিতে ভিজে ছিল। অনেক শিক্ষার্থীকে বাসের সিটবদল করতে দেখা যায়। কেউ কেউ অন্য বাসে গিয়েও পাড়ি জমায়।বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের ছাতা বের করে বাসের মধ্যে । কুবি প্রশাসন বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ থেকে বাসগুলো ভাড়ায় পরিচালনা করে থাকে। প্রায় শিক্ষার্থীরা বিআরটিসির বাস সার্ভিস সম্পর্কে বিরুদ্ধ মতবাদ পোষন করে থাকলেও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে কোন সমাধান পাওয়া যায় নি বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায় বিআরটিসির প্রায় প্রতিটি বাসের জানালা, সিটের অবস্থা শোচনীয়। যা বৃষ্টি কিংবা তীব্র রৌদ্র হতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য অনুপযোগী।
ভাড়া দেয়ার পরও এরকম নষ্ট, ফিটনেস বিহীন বাস সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে বিআরটিসির বাসগুলো।

ভোগান্তি সম্পর্কে পরিবহন পুলের সেকশন অফিসার জাহিদুল আলম কে প্রশ্ন করলে বলেন, “বিষয়টি লজ্জাজনক। আসলে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। এটি নিয়ে আমি বিআরটিসির ম্যানেজার এর সাথে কথা বলব। বাসগুলো আমরা ভাড়ায় নিয়ে আসি,তারা এরকম বাস কাম্য বলে মনে করি না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যা করার দরকার বলে মনে করি সেটি করছি।”

এদিকে বাসে অবস্থানরত লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুজন বলেন,”বৃষ্টির পানি দিয়ে আমাদের শরীর প্রায় অর্ধেক ভেজা ভেজা অবস্থা। প্রথমে পানিতে যেন না ভিজে যায় সেই জন্য জানালার পাশে না বসে মাঝে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। তারপর দেখি মাঝে দাঁড়িয়েও পানি আসছে উপর দিয়ে।”

অন্য আরেক শিক্ষার্থী জানান, “উপায়ন্তর না দেখে আমি ব্যাগ থেকে ছাতা বের করি । লজ্জাজনক বিষয় হলেও বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে আমি এটি করতে বাধ্য হয়। আমি আশা করি কুবি পরিবহন পুল এর ব্যবস্থা অতি সত্তর করবে যেহেতু বৃষ্টি এখন নিত্য দিনের ঘটনা।”

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিবহনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের পাশাপাশি ৯ টি বিআরটিসির ভাড়া বাস রয়েছে। তবে বাসগুলোর সেবা নিয়ে মাঝেমধ্যেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুন্তুষ্টি চোখে পড়ে।