ময়মনসিংহের  ভালুকায় ফেসবুক  স্ট্যাটাসের জেরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা—

প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ , জুলাই ৫, ২০২১


ময়মনসিংহের  ভালুকায় মেহেরাবাড়ী এভা ডায়িং মোড়ে  ফেসবুক  স্ট্যাটাস ও কমেন্ট  করাকে কেন্দ্র  করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সাঈম খান (১৮)নামের এক যুবককে পিটিয়ে  হত্যার অভিযোগ  উঠেছে। নিহত সাঈম খান ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের  নাজিমউদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুর  আব্দুল আউয়াল  ডিগ্রী  কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা  করত।
গত রোববার রাতে মেহেরাবাড়ী পশ্চিম পাড়া এভা ডায়িং মোড়ে  সংঘর্ষে  আহত হওয়ার পর সাঈমকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অবস্হা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক  ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ  দেন।
পরবর্তীতে ঢাকার একটি হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন  অবস্হায় সোমবার সকালে সাঈম খান মারা যান।
নিহতের  পরিবার ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার বিকেলে উপজেলার মেহেরাবাড়ী গ্রামের শাহাব উদ্দিনের  ছেলে মিরাজ  (১৫)একই গ্রামের আমান উল্লাহ পাঠানের  ছেলে সাব্বির  (১৭),হাবীবুল্লাহর ছেলে সোহাগ (১৬)এবং সোলেমানের ছেলে মনিরকে(২৪)জড়িয়ে ফেসবুকে নেশাখোর মন্তব্য করে একটি স্ট্যাটাস দেন।এরই জেরে রোববার সন্ধ্যায় মিরাজের  বিচার করার জন্য মোবাইল ফোনে নিহত সাঈম খানসহ ৭/৮জনকে ডেকে আনেন।এ সময় দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে  সংঘর্ষ বেধে যায়।সংঘর্ষে সাঈম খান  ও মিরাজ আহত হন।আহতদের  মধ্যে  মিরাজকে উদ্ধার করে  ভালুকা সরকারী হাসপাতালে  ভর্তি  করা হয়।তাদের  মাঝে সাঈম খানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে আশংকাজনক অবস্হায় ঢাকার একটি  বেসরকারি  হাসপাতালে  নেয়া হলে চিকিৎসাধীন  অবস্হায়  সাঈম মারা যান।
নিহত সাঈম  খানের চাচা আফাজ উদ্দিন খান জানান,’আমার  ভাতিজা কে মোবাইলে  ডেকে পিটিয়ে  খুন করা হয়েছে। ‘
আহত মিরাজের  বড় বোন সুইটি আক্তার বলেন,’রোববার  দুইজন অপরিচিত  ছেলে বাড়ী এসে  তার ভাইকে মারধর করে চলে যায়। রাতে এ ব্যাপারে সালিশ হলে, সেখানেও  ছোট ভাই মিরাজ কে মারধর  করলে আহত অবস্হায়  তাকে উদ্ধার করে  ভালুকা  সরকারী হাসপাতালে  ভর্তি  করি’।
ভালুকা মডেল  থানার ওসি মাহমুদুল  ইসলাম জানান, ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের  সংঘর্ষে  একজন নিহত হয়েছেন।লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন ও আসামী  গ্রেফতারে অভিযান চলছে

Loading