ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কক্সবাজারে ৪৫ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ , মে ২৬, ২০২১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমা জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার ৪৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিধ্বস্ত ও নষ্ট হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়ি-ঘর। বিশেষ করে কুতুবদিয়া ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতির পরিণাম বেশি। 

জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার শহরতলি, সদর উপজেলার গোমাতলী ইসলামপুর পেকুয়া উপজেলার মগনামা মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা এলাকায় সর্বোচ্চ পাঁচ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরের জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পুর্নিমা জোয়ারে কুতুবদিয়া দ্বীপের কয়েকটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপের বেরিবাধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। এছাড়া বেরিবাধের বাইরে থাকা বাড়িঘর জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয়েছে। দ্বীপের ৮ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, জোয়ারের কারণে দ্বীপের জেটিঘাট বিধ্বস্ত হয়েছে। পানি উপচে পড়ে দ্বীপের ৫০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত ও নষ্ট হয়েছে। দ্বীপের চারিদিকে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ১৫টি পর্যটন রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার শহরতলীর সমিতি পাড়া, সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টসহ ১০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার গোমাতলী ইসলামপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবীদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমা জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বিকেল থেকে কেটে যাবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনও পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ণিমা থাকায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের উপকূল এলাকায় প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

Loading