ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেই করোনার পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম

প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ , মে ১, ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার চিকিৎসায় ২১৪ বেডই একমাত্র ভরসা। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম, আরটিপিসিআর ল্যাব, আইসিও, হাইপ্রোন্যাজল ক্যানোলাসহ চিকিৎসার অন্যান্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। ফলে সংকটাপন্ন রোগীদের পাঠাতে হচ্ছে ঢাকায়।

প্রায় ৩০ লাখ জনসংখ্যার ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য মাত্র ২১৪টি করোনা বেড রয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে রয়েছে ৫০টি। তবে ঘাটতি রয়েছে করোনার চিকিৎসায় আধুনিক যন্ত্রপাতির। এ কারণে করোনায় আক্রান্তদের হোম আইসোলেশন ও হাসপাতালে নির্ধারিত ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, যে হারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা উদ্বেগজনক। কিন্তু জনবল ও সরাঞ্জামাদি খুবই অপ্রতুল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. শওকত হোসেন বলেন, কোভিড ও নন-কোভিড মিলে প্রায় আড়াইশ’ রোগ আছে। সেক্ষেত্রে আবার যদি রোগী বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে লোকাল ফ্যাসিলিটি ও লোকবল দিয়ে আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

অন্যদিকে, করোনা পরীক্ষা করাতে আসাদের কয়েক দিন অপেক্ষা এবং লাইনে দাঁড়িয়েও পরীক্ষা করাতে পারছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। উপেক্ষিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব।

ভুক্তভোগীরা জানান, তিন দিন আগে জরুরি বিভাগে আসি, ওনারা দূর থেকেই ওষুধ লিখে দিয়েছে। ভেতরে যেতে দেয়নি। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছি কি না সেটা এখনও জানতে পারিনি। প্রত্যেক দিন অনেক মানুষ আসছে, তারা করোনা টেস্টের ফর্ম না পেয়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

এক নার্স জানালেন, যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, বেড সংখ্যা অনুযায়ী যদি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে সেবা দেওয়াটা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।করোনার চিকিৎসায় নানা সংকটের কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় সরাঞ্জামাদির জন্য প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানান সিভিল সার্জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ বলেন, ইতিমধ্যে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি যে আইসিইউ বেডসহ হাইফ্রো নেজাল ক্যানোলা আমাদের সদর হাসপাতালে স্থাপন হয়। যার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী উপকৃত হবে।চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতাই রোধ করতে পারে করোনার প্রকোপ।

Loading