ভারত-পাকিস্তান মধ্যস্থতায় ঝুঁকি কেন নিলো আমিরাত

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ২০, ২০২১

ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুলাওয়ামাতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পর দক্ষিণ এশিয়ার পারমানবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে আরেকটি যুদ্ধের প্রবল ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।

যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত হয়নি, তবে ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক হিমঘরে ঢুকে পড়ে। কয়েক মাস পর অগাস্টে নরেন্দ্র মোদীর সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা রহিত করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে পড়ে।

কিন্তু গত মাস দু’য়েক ধরে হঠাৎ করেই সেই বরফ যেন গলতে শুরু করেছে। প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায় ২৫শে ফেব্রুয়ারি, যখন দুই দেশের সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরল এক বৈঠকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ২০০৩ সালে সই করা একটি চুক্তি মেনে চলার সিদ্ধান্ত হয়। ওই খবরে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন তখন।

এরপর মার্চের মাঝামাঝি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার রশীদ বাজওয়া যখন “অতীতের বিরোধকে কবর দিয়ে” ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রীতি এবং “শান্তিপূর্ণ উপায়ে” কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানের কথা বললেন, তখন ধারণা আরও শক্ত হয় যে বল হয়তো গড়াতে শুরু হয়েছে।

এর কিছুদিন পর ভারত থেকে তুলা ও চিনি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে নরেন্দ্র মোদী তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে একটি বার্তা পাঠান।

একের পর এক এসব খবর বের হওয়ার সময় কয়েকটি মিডিয়ায় বেনামি সূত্র উদ্ধৃত করে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোপনে যোগাযোগ এবং কথাবার্তা শুরু হয়েছে।

মার্চে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হঠাৎ করে যখন দিল্লি যান, কানাঘুষো আরও বেড়ে যায়। রয়টার্স বার্তা সংস্থা এমন একটি খবরও দেয় যে জানুয়ারিতে দুই দেশের উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দুবাইতে গোপন এক বৈঠকও করেছেন।

অবশেষে গত ১৫ই এপ্রিল এই মধ্যস্থতার কথা খোলাখুলি জানিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রে ইউএই‘র রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভারসিটির এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি বলেন যে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সংযুক্ত আরব আমিরাত মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা এখন আশা করছেন ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক এমন একটি ‘সুস্থ’ পর্যায়ে আসবে যেখানে তারা পরস্পরের সাথে কথা বলবে, একে অন্যের রাজধানীতে দূত ফেরত পাঠাবে। “হয়তো তারা ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু হবে না, কিন্তু আমরা চাই তাদের মধ্যে কথা শুরু হোক।“

আমিরাতী কুটনীতিকের ওই বক্তব্যের তিনদিনের মাথায় রোববার একই দিনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী আবুধাবি যান। ওই দু’জন মুখোমুখি বসে কথা বলেছেন কিনা, তা পরিষ্কার নয়। তবে এটা এখন স্পষ্ট যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি স্থাপনকারীর ভূমিকা নিয়েছে ইউএই।

প্রশ্ন হচ্ছে, অতি দুরূহ এই কাজের দায়িত্ব কেন কাঁধে নিলো উপসাগরীয় এই ক্ষুদ্র দেশটি? কতটা প্রভাব তাদের রয়েছে?

লড়াই ছেড়ে ‘ইমেজ, প্রেস্টিজ’

সামরিক দক্ষতার জন্য প্রাচীন গ্রীসে স্পার্টা নামের একটি নগরের বিশেষ সুনাম ছিল। খুদে আরব আমিরাতের সামরিক উচ্চাভিলাষ দেখে সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম মাতিস এর নাম দিয়েছিলেন ‘লিটল স্পার্টা’।

ছোট এই উপসাগরীয় দেশটি কাছের ইয়েমেন থেকে শুরু করে আফগানিস্তান, লিবিয়া, পূর্ব আফ্রিকা এবং আফগানিস্তানে সরাসরি সামরিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেশটি শান্তির মধ্যস্থতাকারী একটি রাষ্ট্রের ইমেজ তৈরিতে তৎপর হয়েছে।

এর পেছনে মূল চালিকাশক্তি হলেন আবুধাবির ক্ষমতাধর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন যায়েদ।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিল ভারত সরকার

২০১৮ সালে ইথিওপিয়া এবং এরিত্রিয়ার মধ্যে শান্তি স্থাপনে ভূমিকা রাখে ইউএই। ইথিওপিয়া এবং সুদানের মধ্যে সীমান্ত বিরোধে মধ্যস্থতার ভূমিকা নিয়েছিল দেশটি। নীল নদের ওপর ইথিওপিয়ার একটি বাঁধ তৈরি নিয়ে মিশরের সাথে তাদের বিরোধ নিরসনেও ভূমিকা নিয়েছে।

এক সময় লিবিয়ায় মিলিশিয়া নেতা খলিফা হাফতারের অস্ত্রের বড় যোগানদাতা ছিল ইউএই। এখন তারা সেখানে রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলছে – অবশ্য সে পথ তারা নিয়েছে লিবিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপের পর। ইয়েমেনেও সামরিক তৎপরতা অনেক কমিয়ে এনেছে ইউএই।

তবে ভারত ও পাকিস্তানকে কাছে আনার লক্ষ্যে মধ্যস্থতা করার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত ইউএই‘র সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী শান্তি প্রকল্প।

লন্ডনে রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কিত গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সামি হামদি বলেন, কাতারের সাথে পাল্লা দিয়ে ইউএই এখন বিশ্বের কাছে শান্তি স্থাপনকারীর একটি ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব।

“ইউএই দেখাতে চাইছে যে তারা এমন একটি আধুনিক শক্তিশালী উদার একটি রাষ্ট্র, যারা বিশ্বে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করছে, এবং তাদের প্রভাব এবং গ্রহণযোগ্যতা এখন এতটাই যে ভারত ও পাকিস্তানের মত দুই পারমানবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বিরোধ মেটাতেও তারা ভূমিকা রাখছে।“

সামি হামদি আরও বলেন, তাদের মধ্যস্থতায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আসুক বা নাই আসুক, তার চেয়ে ইউএই‘র বড় বিবেচনা হলো তাদের “ইমেজ, প্রেস্টিজ (মর্যাদা)।”

“সে কারণে দেখবেন তাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু বা তাতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কথা ভারত বা পাকিস্তান জানায়নি। জানিয়েছে ইউএই।“

তবে হামদি মনে করেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শত্রুতা প্রশমনে আমিরাতের নিজেরও কিছু ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে।

“আফগানিস্তানে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের পর সেখানে তুরস্কের প্রভাব বাড়ার সম্ভাবনায় নিয়ে ইউএই চিন্তিত। এজন্য পাকিস্তানকে প্রয়োজন তাদের। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করতে পারলে সেই আস্থা অর্জন সহজ হতে পারে বলে ইউএই হয়তো ভাবছে।“

মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশেষজ্ঞ এবং ওয়াশিংটনে গবেষণা সংস্থা আরব গালফ স্টেটস ইনস্টিটিউটের গবেষক হুসেইন ইবিশ ব্লুমবার্গ সাময়িকীতে এক বিশ্লেষণে লিখেছেন যে কাশ্মীর সমস্যার একটি “বাস্তবসম্মত” বোঝাপড়া ইউএই নিজেও চায়।

“কট্টর ইসলামী এবং সন্ত্রাসী অনেক গোষ্ঠী কাশ্মীরীদের দুর্দশা তুলে ধরে সাধারণ মুসলমানদের আবেগে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। এই গোষ্ঠীগুলোকে ইউএই নিজেদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসাবে দেখে। তাই কাশ্মীর সমস্যার একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে তাদের স্বার্থ রয়েছে।“

কিন্তু ভারত ও পাকিস্তান কেন ইউএই‘র মধ্যস্থতা মেনে নিলো?

দিল্লিতে জওহারলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় ভরদোয়াজ কথায়, ইউএই‘র মধ্যস্থতার বিষয়টি জেনে প্রথমে তিনিও বিস্মিত হরেছিলেন, কারণ ভারত কখনই কাশ্মীর বা পাকিস্তানের সাথে বোঝাপড়ায় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রস্তাব মানেনি।

পুলাওয়ামা সংকটের পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে পাওয়া মধ্যস্থতার প্রস্তাবও ভারত প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাহলে এখন ইউএই‘র মধ্যস্থতায় কেন সায় দিচ্ছে ভারত?

ড. ভরদোয়াজ মনে করেন, আফগানিস্তানসহ ভূ-রাজনৈতিক বেশ কিছু নতুন বাস্তবতা ভারতের এই নমনীয় অবস্থানের পেছনে কাজ করছে।

“আমেরিকান সৈন্য আফগানিস্তান থেকে চলে গেলে সেখানে পাকিস্তানের প্রভাব বাড়বে। কিন্তু ভারতও মধ্য এশিয়ায় তাদের বাজারের জন্য আফগানিস্তানে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। পশ্চিমা দেশগুলো তাই মনে করছে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বোঝাপড়া জরুরী।“

কিন্তু অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলার প্রস্তাব নিয়ে অগ্রসর হওয়া এ মুহূর্তে ভারতের জন্য যেমন, পাকিস্তানের জন্যও তেমনই বিড়ম্বনার। ইউএই‘র মধ্যস্থতাকে তাই এ মুহূর্তে গ্রহণযোগ্য একটি বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করছে ভারত।

ড. ভরদোয়াজ বলেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সৌদি আরব বা ইউএই‘র কাছ থেকে তেমন কোনও সমর্থন পাকিস্তান পায়নি। “এই দুই প্রভাবশালী ইসলামী দেশ কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করেছে। তাই ইউএই‘র ওপর ভরসা করছে ভারত।“

অন্যদিকে, কাশ্মীর বা ভারত নিয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের আপত্তি কখনই ছিল না। তাছাড়া, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং কাশ্মীর নিয়ে মাথা গলাতে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর ক্রমাগত অনীহা পাকিস্তানকে ভারতের সাথে একটি বোঝাপড়ায় সম্মত হতে এক রকম বাধ্য করেছে।

লন্ডনে সোয়াস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসির গবেষক এবং পাকিস্তান রাজনীতির বিশ্লেষক ড. আয়েশা সিদ্দিকা বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতের সাথে বোঝাপড়ায় পাকিস্তানের উৎসাহের র পেছনে “প্রধান যে তাড়না তা হলো অর্থনৈতিক তাড়না।”

“পাকিস্তান বুঝতে পারছে যে, আমেরিকার প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের নীতিতে তারা অনুপস্থিত। ভারত সেখানে মধ্যমণি। সেটা অবশ্যই পাকিস্তানের বড় মাথাব্যথা।”

সামি হামদিও মনে করেন, সৌদি আরব এবং ইউএইর বিকল্প হিসাবে কাতার এবং তুরস্কের সাথে ঘনিষ্ঠতায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। “ইমরান খান আবারও তাই পুরনো মিত্রদের দিকে তাকাচ্ছেন।“

ইউএইর মধ্যস্থতায় সাফল্যের সম্ভাবনা কতটা?

মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ইথিওপিয়া ও এরিত্রিয়ায় যে ঝামেলা ইউএইকে সামলাতে হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তার মাত্রা হয়তো লক্ষগুণ বেশি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববারও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি মিডিয়ার সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ভারতকে অবশ্যই কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনর্বহাল করতে হবে। এই অবস্থানে পাকিস্তান অনড় থাকলে যে কোনও মুহূর্তে আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে। ড. ভরদোয়াজ বলছেন, “কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান বেশি চাপাচাপি করলে ফলাফল হবে শূন্য।“

সামি হামদি বলেন, মধ্যস্থতায় ইউএই কতটা সফল হবে বা ব্যর্থ হবে, তা নির্ভর করবে প্রত্যাশার মাত্রার ওপর।

তার কথায়, “আপনি যদি মনে করেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তি চুক্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারবে ইউএই, সেটা হয়ত সম্ভব নয়। কাশ্মীর সমস্যার ম্যাজিক সমাধান কেউই দিতে পারবে না। তবে আপনি যদি মনে করেন যে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমবে, সেটি হয়তো একটি সম্ভাবনা।“

হামদি মনে করেন, পাকিস্তান এবং ভারত নিজের মধ্যে কথা বলতে চাইছে বলেই মধ্যস্থতার সুযোগ পেয়েছে ইউএই, তাই সাফল্য বা ব্যর্থতাও নির্ভর করবে এই দুই দেশের ওপর।

তবে একটা ইতিবাচক দিক হলো, যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা কোনও দেশ এই মধ্যস্থতার ভূমিকা নিলে যে হাজারো ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম হতো এখন হয়তো তা হবে না।

ইউএই’র সাথে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেরই ভালো সম্পর্ক। দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ সেদেশে কাজ করেন, থাকেন। এবং ইউএই’র এই মধ্যস্থতার খবর জানাজানির পর দুই দেশের মিডিয়া বা ভাষ্যকাররা এ নিয়ে ইতিবাচক কথাই বলছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Loading