ইন্সপেক্টর সেলিম মিয়া’র একগুচ্ছ কবিতা নিউজ৭১অনলাইন নিউজ৭১অনলাইন প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ , জুন ৫, ২০২০ (এক)শিরক করবনা,ক্ষমা চাই আল্লাহ্বিনা মামলায়, চৌদ্দ দিবস, গৃহবন্দী।আধুনিক- অত্যাধুনিক, আবিষ্কার-মহা আবিস্কার, ভিআইপি- ভিভিআইপি, পৃথিবী জুড়ে অসহায়ত্বের প্রেমে, পাগলপ্রায়; সফর, ভ্রমণ কেউ করেন না। ব্রিজে হাঁটেন না, কাবা শরীফে ঘুরেন না, ভেনিসে ভাসেন না, ভ্যাটিকান দেখেন না, উড়োজাহাজে উড়েন না, তাজমহলে যান না, সীমান্ত পারাপার হন না।চুম্বন, আলিঙ্গন, বন্ধুত্বে না না না। সবকিছু ঠিকঠাক হবে হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁবলুন শিরক করবনা, ক্ষমা চাই আল্লাহ্। (দুই)ঈদের আমেজ ঈদ আসছে, আমেজ নেই, বিষাদ ছুঁয়েছে এ জীবনে;মা রয়েছেন একা একা জন্মস্হাণ পৈতৃক আবাসে।রাণী, রত্নরা রয়েছে, পূর্ববর্তী কর্মস্থল বিক্রমপুরে;আমি আছি হাওড় অঞ্চলের অজোয়া এক উগ্র গাঁয়ে। এ গাঁয়ে কারো মহামারীর ব্যথা নেই, নেই কোনো দুঃখ;ইফতার, ত্রাণ, ঈদ সামগ্রী বিতরণ গ্রুপ বিরোধ বিভক্ত।মতবিরোধ, হামলা মারামারি, অনেকেই আহত;আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, পুলিশ কেও আক্রমণ;অবশেষে লাঠি চার্জ পুলিশের কঠোর এ্যাকশন। (তিন)হে নিহারিকা মনে পড়ে যায়, তোমার আঙ্গিনায়, শুভ সকালের সে প্রথম দেখা;এরপর, বিশ বছরের ঘরনে- দোলনে, কতোযে খুশির দোলা।হরতাল, অবরোধ, যত থাক কর্মযোগ, থামাতে পারেনি তো কেউ;দিবসে দিবসে এসেছে বাঁধা, বড়জোর সপ্তাহ পেরিয়ে, আবার হয়েছে দেখা।দিবস গেল, সপ্তাহ গেল, মাস যাচ্ছে, মাস চলে যায়, তবুওতো হলোনা দেখাএকি হলো, তুমি বলো, বলো হে নিহারিকা। জীবন-জুড়ে, মৌন-পুড়ে, নিভু-নিভু দ্বীপ্তরা এসে, খেলা করে জীবনের ঘরে,হৃদয়ের অশ্রু জলে, বুকের সায়ে সিক্ত হয়েছে, অলোকঅরুণের তরেদুঃখের দহনে, সাজিয়ে রেখেছি, অতি যতোনে, রহিতের এ অন্তরে।নিয়তির বিচ্ছিন্নতার ছায়া, পোশাক পরাধীনতায়- কোকিলের কায়া;জগতের সব মায়া, মহেশের মালিক, সেও-তো ভুলেছে আপন পর।একি হলো, তুমি বলো, বলো হে নিহারিকা। (চার)ক্ষণে ক্ষণে আশার প্রদীপ নিভু-নিভু আঁচে, অশুভ ফন্দির ছলক্ষণে ক্ষণে, ঝরে পড়ে, ফোঁটা-ফোঁটা দুঃখ বন্দির-জল। সুখের স্মৃতিরা আনন্দ ভুলে, বিরহের মালা পরায়সময়ের এ মালা সুখের বনে দুঃখের ঝড়ে জ্বালা ধরায়। আঘাতে আঘাতে জর্জরিত অর্থ ভক্ষণ চেতনায়মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে কেঁদে উঠি ব্যর্থ লক্ষণ বেদনায়। (পাঁচ)নিবাস রংধনুর রং মাখা আকাশে, হঠাৎ আঁধার-উতল খেলা,ধুধু বালুচরে, থরে-থরে, বানে ভাসে আপন-ভেলা।দুঃস্বপ্নের সেই কালের ক্ষণে হারিয়ে গেলো কোলাহলমাইক-মুখে এক-কথা চল চল চল,আশ্রয় কেন্দ্রে চল। যেতে-যেতে, যেতে না পারা, কেহ হারালো জীবন,কেহ যেতে পেরেও, খোয়ালো সব, রেখে আসা সম্বল,বিলীন হলো, অনেকের মতো আমার নিবাস-ভূমি। কতজন অনাহারের উপবাস, বিষাদের বেদনা বাহার;অতঃপর অসংখ্যজন ত্রাণ পেলো এ যেনো ঈদ উপহার; জ্ঞানওয়ালা কেহ কেহ বলে এসব প্রকৃতির তাণ্ড;আমি বলি, বিধাতার নজির এ এক এলাহি কাণ্ড। (ছয়)প্রেয়সীর প্রহরে প্রেয়সীর-প্রহরে,বেতার-হাওয়ায়,সরব-আসে, সাজ নাবেসুরো-ওশুর-ফাঁদে, হারানো-বাঁশির-সুর কাঁদে,ভগ্ন-নিদ্রায়, নগ্ন-নিশীথ, এপাশ-ওপাশ করে। বৃথা-বাহার দিবার-প্রেমে, কর্ম-বায়ু-ছোটে,সময়-শেষে, সুবাস-ছড়ায়, একা-রাতের খোটে। তীব্র-তাড়নায় বুকেরর ভেতর, অশুভ-আঁচড়-কাঁটে, দক্ষিণা-হাওয়ায় গা-ভাসিয়ে ঘুরছি ঘাটে ঘাটে। প্রেয়সীর অবর্তমানে, প্রকৃতিকে প্রশ্ন করে,উত্তর মেলেনা, গায়ে-ঘেঁষেও; শিহরণ-আসেনা।প্রেয়সীর-প্রহরে,বেতার-হাওয়ায়,সরব-আসে, সাজ না। (সাত)পরাধীন শাস্ত্র মনের কতো কথা হারিয়ে যায়, লিখে নারাখার জন্য প্রেমের কতো কলি নাফোঁটা রয়,মুখ ফুটে নাবলার জন্যকতো ভালবাসার ফুল ঝরে যায়,ভুল ধরে রাখার জন্যকতো ফুলে ভ্রমর যেতে পারেনা,পরাধীন শাস্ত্রের জন্য (আট)মেঘ মালাসাদা কালো মেঘমালা, এলো কেশ মেলে, ধেয়ে ভেসে এসে, নীলিমার নীল ঢেকে দেয়।এতে, নীলিমার রূপ সাময়িক বদলায়, বিলীন হয়না।মেঘমালা আসে যায়, আসে যায়, নীলিমা থেকে যায়। শেয়ার শিল্প-সাহিত্যবিষয়:https://news71online.com/?p=2578&preview=truehttps://news71online.com/archives/2578