মেজর সিনহার মৃত্যু

ওসি প্রদীপসহ ৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ , আগস্ট ৬, ২০২০

পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা (মেজর) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের একটি আদালত।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ আদেশ দেন কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

এর আগে এই মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ হেফাজতে কক্সবাজার আদালতে নেয়া হয়। তারও আগে অপর আট আসামিকেও আদালতে নেয়া হয়। পরে আসামিদের আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ নিহতের ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে গেল ৫ জুলাই মামলা করেন তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে মামলাটি করা হয়। পরে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে এজাহারের ধারা অনুযায়ী হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটি রেকর্ড করে সাত দিনের মধ্যে আদালতকে অবগত করার আদেশও দেন আদালত।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল ও মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, মামলা রেকর্ডের পর কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার আজিম আহমেদকে তদন্ত করার নির্দেশও দেন আদালত।

মামলার এজাহারে প্রধান আসামি করা হয়েছে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে। মামলায় ২নং আসামি করা হয়েছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে। এছাড়া অন্য সাত আসামি হলেন- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। তার ওপর গুলি চালান বাহারছড়া ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকত। নিহত সিনহা রাশেদকে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ২০ জনকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে পুরো নতুন টিম দেয়া হয়েছে।

Loading