পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেছেন, পিবিআইকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে, দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং সবার পক্ষে তদন্ত করতে হবে। বাদী ও বিবাদীর দুই পক্ষরই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রাখে। কোনো লোক যদি পিবিআইর কাছে আসে, তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। পিবিআইকে টিকে থাকতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।

শুক্রবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় যশোরের পিবিআই কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পিবিআই প্রধান বলেন, নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

এসময় তিনি পিবিআই কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মামলা তদন্তে সততা, নিষ্ঠা, মামলার সঠিক রহস্য উদ্ঘাটন করে এর গুণগত মান ধরে রাখা এবং সঠিক ও নির্ভুল তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এছাড়া ক্লুলেস মামলা রহস্য উদ্ঘাটনে বিশেষ গুরত্বারোপ করেন এবং তদন্তে মামলার দ্র্রুত নিষ্পত্তির স্বার্থে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহারের নির্দেশ দেন।

বনজ কুমার বলেন, পিবিআই গঠন হয়েছিল মামলার সঠিক ও নির্ভুল তদন্তের উদ্দেশ্যে। পিবিআই সারাদেশে সম্পূর্ণ চাপমুক্ত থেকে সঠিক তদন্ত করে আসছে। একারণে সব স্তরের মানুষের কাছে পিবিআই এখন আস্থার জায়গা। তিনি পিবিআইকে এই আস্থা ধরে রাখার জন্য নির্দেশ দেন।

এসময় তিনি পিবিআইর কাজ আরও গতিশীল করতে খুলনা বিভাগসহ সব বিভাগে একটি করে ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা দেন। সবশেষ তিনি পিবিআই যশোরের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সাংবাদিকদের সাথে নিয়েই পিবিআই তাদের গতিশীল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে চান বলে মন্তব্য করেন।

এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন খুলনা পিবিআই পুলিশ সুপার নাইমুল হাসান ও যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির (ডিএসবি)সহ পিবিআই যশোরের কর্মকর্তারা।

এর আগে শুক্রবার সকালে তিনি যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে সালামি গ্রহণ শেষে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ‍পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী (প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত পুলিশ ‍সুপার জুয়েল ইমরান (ক সার্কেল) প্রমুখ।