বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ , মার্চ ১৮, ২০২৪

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম এই বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই।

আজ সোমবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উত্তাল সমুদ্রে, অমানিশায় বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। এই বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাব বিজয়ের সোনালী বন্দরে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫ যখন ফিরে যাই জাতির পিতার রক্তাক্ত লাশ ৩২ নম্বরের পড়েছিল সিঁড়িতে। সেই লাশ ২ দিন পর টুঙ্গিপাড়া ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় বঙ্গবন্ধু দাফনে ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৮-১৯ লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে দাফন দিয়ে তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অংক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থকেন্দ্র।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগ্যাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছে জয়। দেশে এসে তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নীরবে আবার চলে যাচ্ছে। কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবার।

তিনি বলেন, আজকে জাতির পিতার কাছে আমরা কী শিখবো? আমাদের রাজনীতিতে আমরা কীভাবে শিক্ষাগ্রহণ করব, আমাদের রাজনীতিতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন আমরা সেটা কীভাবে শিখবো? আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস, রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, একটি পরিবার ক্ষমতার ১৫ বছরে ক্ষমতার কোনো বিকল্প সেন্টার এই পরিবার করেনি। এদেশে হাওয়া ভবন নেই। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিবারের সবাই সততার প্রতীক।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

Loading