বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে রওশনপন্থি জাপার সম্মেলন

প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ , মার্চ ৯, ২০২৪

জাতীয় পার্টির (জাপা) বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে সম্মেলন করছেন রওশন এরশাদ।

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর রমনা ইনস্টিটিউটের সামনে খোলামাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে রওশন এরশাদ ছাড়াও রয়েছেন, জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু।

ফলে জাতীয় পার্টি নামে আরও একটি দলের সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে জাতীয় পার্টি ভেঙে একই নামে ৫টি দল হয়েছে।

রাজধানী ছাড়া ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেবর-ভাবির কোন্দলের মাত্রা চরমে ওঠে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা সরাসরি পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেন। ফল বিপর্যয়ের জন্য দোষারোপ করেন। তাদের পদত্যাগও চান পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই।

এ ঘটনা কেন্দ্র করে দলে থাকা দীর্ঘদিনের মিত্রদের একে একে বহিষ্কার করেন জিএম কাদের।

এর মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জাপার স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হন রওশন এরশাদ।

মূলত রওশন অংশে তিনি ছাড়া বাকি শীর্ষ নেতাদের সবাই দল থেকে বহিষ্কৃত। বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়েই নতুন করে দল গঠন করতে যাচ্ছেন সাবেক এই বিরোধী দলের নেতা। তবে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রওশন এরশাদকে বহিষ্কার করেননি জিএম কাদের।

দলটির একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাপায় সবচেয়ে বড় ভাঙন হতে যাচ্ছে আজ শনিবার। যদিও ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না রংপুরসহ ১৭টি জেলা। অন্য জেলার নেতাকর্মীরাও কমবেশি এখন দুই ভাগে বিভক্ত।

বিভক্তি প্রসঙ্গে রওশনের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব কাজী ফিরোজ রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে অনেক চেষ্টা করেছি, শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। জাপা ফের ভাঙছে। এজন্য কে দায়ী, তা হয়তো সময় মূল্যায়ন করবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়। এরপর নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে অন্তত ছয় ভাগে বিভক্ত হয়েছে দলটি। তারপর থেকে এরশাদ-রওশন ও জিএম কাদের জাপার মূল ধারায় ছিলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে রওশন ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।

Loading