চট্টগ্রামের আঞ্চলিক মাইজভান্ডারী মরমি গানের কিংবদন্তী শিল্পী আবদুল গফুর হালীর স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে একাডেমির মিলনায়তনে ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠিত স্মরণানুষ্ঠনে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল আলোচনা,স্মৃতিচারণ এবং সংগীত সন্ধ্যা। গফুর হালীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

প্রত্যয়ের নির্বাহী সদস্য এস এম হারুনর রশীদ এর সভাপতিত্বে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রত্যয়ের সমন্বয়ক এমরান হোসেন রাসেল।  অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও যাত্রাভিনেতা মিলন কান্তি দে।তিনি বলেন,আবদুল গফুর হালী আঞ্চলিক,মাইজভান্ডারী ও মরমি সংগীত স্রষ্টা। তিনি শুধু গান ও সুরের সৃষ্টি করেননি,করে গেছেন আধ্যাত্তিক চর্চাও। গুণী এ শিল্পীর সৃষ্টি আমাদের সবার কাছে তুলে ধরতে হবে।
স্মরণানুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান,পটিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটির পটিয়া উপজেলা সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম সোহাইল, এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার চাটার্ড প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মিয়া হাসান, ব্যাংকার ও সংগঠক আলমগীর আলম,সংগীত শিল্পী মাহফুজুর রহমান জাবেদ হালী, সংগীত শিল্পী শিবু মল্লিক। বক্তারা আরো বলেন,গফুর হালী চট্টগ্রামের গান নিয়ে এতটাই কাজ করেছেন যে, চট্টগ্রামের গানের ভান্ডার কত ঋদ্ধ তিনি তা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে গেছেন। এমন গুণগ্রাহী মানুষ আমাদের বর্তমান সমাজে সচরাচর পাওয়া যায় না। তার মত বিরল প্রতিভার মানুষের কোন আদর-কদর আমাদের সমাজে নেই। সারাজীবন নিরীহ নিভৃতচারী প্রচারবিমুখ এই সাধক নিজেকে লুকিয়ে রেখেছন। স্মরণানুষ্ঠানে গফুর হালীর লেখা গান পরিবেশন করে শিল্পী সিফাত আমিরী, শিবু মল্লিক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, জয়নাল আবেদন, প্রমিত দাশ, অর্পণ আচার্য্য, মনিষা দে, ওরব কুমার শীল। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির সদস্য ও শিক্ষার্থীরা।