সহকর্মী হত্যায় কড়া হুঁশিয়ারি দিল পুলিশ

প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ , অক্টোবর ২৯, ২০২৩

রাজধানীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, পুলিশ হত্যাকারীদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হরতালের বিষয়ে বিপ্লব কুমার বলেন, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব। কেউ যাতে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজধানীর পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান রয়েছে পুলিশের। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

এদিকে, পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যায় ডিএমপির পল্টন থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী মামলাটি করে।

আমিরুল ইসলাম মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী গ্রামের মো. সেকান্দার আলী মোল্লার ছেলে। তিনি কনস্টেবল হিসেবে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ ছিল বিএনপির। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং একপর্যায়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। পুলিশের হিসাবে, ৫৫টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স পোড়ানোর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।

 

Loading