জো বাইডেন-শেখ হাসিনার সেলফি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বার্তা দেয়

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩

জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গতকালের ছবির ভাষা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। যারা বোদ্ধা ব্যক্তি তারাও বুঝতে পারছেন যে, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ও ঘনিষ্ঠ এবং তা ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ হবে।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জি-২০ এর সদস্য নয়। জি-২০ এর সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও জি-২০ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উপমহাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে ডাকা হয়নি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, সেটির বিস্তারিত তারা ফিরে এলে আপনারা জানতে পারবেন।’

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে, শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেই প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। সেখানে কুশল বিনিময়সহ ছোটখাট আলোচনাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে এবং সাইডলাইনে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত সফল সফর হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসবেন। রুশ পরররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় আমাদের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের কেমন সুসম্পর্ক রয়েছে। কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুইদিন ধরে নিরাপত্তা সংলাপ হয়েছে। এই ঘটনাপ্রবাহ যারা অনুধাবন করতে পারেন তারা সঠিকভাবে বুঝতে পারেন যে, বর্তমান সরকারে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কেমন সুসম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে সেটি আরও ঘনিষ্ঠ করার জন্য দুই দেশ কাজ করছে।’

জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি রাজনীতিতে কী বার্তা দিচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সাইডলাইনে বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে এবং কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। ছবি তো অনেক কথা বলে। ছবি নিয়ে তো অনেক গবেষণাও হয়, কারণ ছবি অনেক কথা বলে।’

Loading