পোশাক রপ্তানির আড়ালে টাকা পাচার, ১০ প্রতিষ্ঠান শনাক্ত

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩

পোশাক রপ্তানির আড়ালে তিন শ’ কোটি টাকা বিদেশে পাচারে জড়িত ১০টি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করেছে কাস্টমস গোয়েন্দারা।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জনায় প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানগুলো হল প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, ফ্যাশন ট্রেড, এমডিএস ফ্যাশন, হংকং ফ্যাশন লিমিটেড, থ্রি স্টার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়ার লিমিটেড, পিক্রি নিট ওয়্যারস লিমিটেড, স্টাইলাইজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্সট।

শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান পোশাক রপ্তানীর আড়ালে টাকা পাচার করছিল। ১ হাজার ২৩৪টি চালানের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা তারা পাচার করেছে বলে জানান কাস্টমস গোয়েন্দারা।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব, নাইজেরিয়া, ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, পানামা প্রভৃতি দেশে পাচারের তথ্য উদঘাটন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, রপ্তানি জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্যচালান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না এমন একটি অভিযোগ শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর তদন্ত অধিদপ্তরের কাছে ছিল। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিল অব এক্সপোর্ট জালিয়াতি করে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম (ইএক্সপি) ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করেছে। যার বিপরীতে কোনো অর্থ দেশে ফিরে আসেনি বা সমুদয় রপ্তানি মূল্য বাবদ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিল অব এক্সপোর্টের কোড ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা। ১০ প্রতিষ্ঠানের বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি।

উক্ত ১০ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানায় শুল্ক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানটি।

Loading