শার্শার বাগআঁচড়ায় নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে আইসক্রিম, প্রশাসনের নজরদারির অভাব!

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ , জুলাই ২৬, ২০২৩

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার আইসক্রিম। আইসক্রিম তৈরির জন্য আলাদা পরিবেশ ও নিয়মনীতি থাকলেও তা মানছেন না বরফ ফ্যাক্টরির মালিকেরা।

শুধু শিশু কিশোর নয় গ্রীস্মের প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেটাতে আইসক্রিম ছোট বড় সবারই প্রিয়, আর এসব নিম্নমানের আইসক্রিম খাওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার কোমলমতি শিশুরা।

তৈরিকৃত এ আইসক্রীম মাছের কাজে ব্যবহৃত কক সেটের ভিতরে করে গ্রামের পাড়া মহল্লার অলিতে গলিতে এবং বিভিন্ন স্কুলের সামনে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যেকটি আইসক্রীম বিক্রি হয় ৩ টাকা থেকে ৫ টাকায়। গরমে পিপাসা মিটানোর জন্য শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও খাচ্ছে এ আইসক্রীম। ফলে প্রতিনিয়তই আমাশা, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য বাগআঁচড়ার বেত্রাবতী সড়কের পাশে মজু মেম্বারের খাবার হেটেলের পাশে অবস্থিত হজরত আলীর পিয়াজু-সিঙ্গাড়া বিক্রি করার দোকানের পেছনে অস্বাস্থ্যকর পরিবশে দীর্ঘদিন ধরে আইসক্রীম তৈরি করছে। আইসক্রিমের স্বাদ ও শিশুদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য মিশানো হচ্ছে রং স্যাকারিনসহ বিভিন্ন ফ্লেভারের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল, যা মানুষের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকার। অপরিচ্ছন্ন বালতির মধ্যে খালি হাতেই মেশানো হচ্ছে আইসক্রীমের উপকরণ। পানি রাখার হাউজ রয়েছে অপরিষ্কার। ঢাকনা দেয়া হয়েছে কাঠ দিয়ে। তৈরিকৃত আইসক্রীম তুলে ময়লা হাতেই রাখা হচ্ছে বাঁশের তৈরি ঝুঁড়ির মধ্যে। আইসক্রীম তৈরির কারিগরদের জন্য নির্দিষ্ট কোন পোশাক নেই।

আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক হযরত আলীর কাছে আইসক্রিমে কি কি উপাদান দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্যাকারিন, রং, সুইডেস এগুলো। আইসক্রিমে স্যাকারিন, রং মেশানো যায় কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এগুলো তো সব ফ্যাক্টরিতে ব্যবহার করে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) লক্ষিনদার বলেন, অস্বাস্থ্যকর, কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা এ আইসক্রিম খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। যেমন পেট ব্যথা, আমাশা, ডায়রিয়া, শরীর দুর্বলসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম বলেন, আমি অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, আপনার মাধ্যমে জানলাম, খুব দ্রুত এসব অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Loading