নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ বিষায়ক দু-দিন ব্যাপি প্রশিক্ষন কর্মসূচি শুরু

প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ , মে ১২, ২০২৩

ইফতেখাইরুল আলম(নোয়াখালী)

প্রতি বছর পানিতে ডুবে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় এবং প্রতিদিনেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪০ জন শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যু হচ্ছে।শিশুর মৃত্যুর হার কমাতে গত ৩ বছর ধরে মাঠে-ঘাটে দিন রাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের সহায়তায় গন মাধ্যম ও উন্নয়ন যোগাযোগ সংগঠন সমষ্টি।তারেই ধারাবাহিকতাকে সামনে রেখে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের সহায়তায় গণমাধ্যম ও উন্নয়ন যোগাযোগ সংগঠন সমষ্টি আয়োজনে ৬ ই মে (শনিবার)সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রশিক্ষনটি কর্মসূচি শুরু হয়ে পরে দিন অর্থাৎ ৭ ই মে রবিবার বিকাল ৩টায় শেষ হবে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে ২ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষন কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন,নোয়াখালীর সন্মানিত জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান,বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মাসুম ইফতেখার। সমষ্টির জেলা সমন্বয়ক আবু নাছের মঞ্জুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আই এর সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাসরুর জামান রনি, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কমিউনিকেশন ম্যানেজার সারোয়ার ই-আলম, ও সাংবাদিক জামাল হোসেন বিষাদ। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে জানা গেছে,পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর হার সারা বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশ অন্যতম। এইছাড়া বিশ্ব-স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০ জন হারে যা প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে।শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।যদিও পানিতে ডুবে যাওয়া সবগুলো শিশুর মৃত্যুর ঘটনার তথ্য নিশ্চিত হয়না গণমাধ্যম কর্মীর। পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুদের নিয়ে এখনো জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে কোনো কার্যকর তথ্যের ব্যবস্থা গ্রহন গড়ে উঠেনি। শুধু কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন গুলোশুধু মাত্র ঘটনা কেন্দ্রীক।তাই এ নিয়ে গভীরতাধর্মী প্রতিবেদনের অভাব রয়েছে এ দেশের আনাচে কানাচে। গভীরতাধর্মী প্রতিবেদনে বিষয়টি নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্ব পাবে এবং এনিয়ে জাতীয় কর্মসূচী গ্রহণের বিষয়টিকে তরান্বিত করবে সরকার। এ সময় উক্ত প্রশিক্ষন কর্মসূচিতে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সহ অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত প্রায় ২৩ জন সাংবাদিক অংশ গ্রহনে প্রথমদিন তাত্ত্বিক আলোচনার পর দ্বিতীয় দিন সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শণের মধ্যদিয়ে প্রশিক্ষণের সমাপ্তি হবে জানা গেছে।

Loading