একাধিক দাবিদার থাকলে লাশের ডিএনএ পরীক্ষা

প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ২৪, ২০২৩

কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকুলে ভাসমান ট্রলার থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো: আনোয়ার হোসেন কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় মর্গের সামনে থাকা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, সাগরে ভাসমান ট্রলার থেকে উদ্ধার ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পেরেছেন। বাকী মৃতদেহগুলো নিকটাত্মীয়রা শনাক্তের কথা বললেও পুলিশ বলছে তারা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। মৃতদেহগুলো এতই বিকৃত হয়ে গেছে যে, কে কার স্বজন সেটা নিশ্চিত করা কঠিন। একারণে মৃতদেহের একাধিক দাবিদার থাকলে প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ডিআইজির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি। এসময় চট্টগ্রাম সিআইডি বিভাগের ডিআইজি মো: হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মর্গে আসা স্বজনদের দাবি নিহত জেলেদের মধ্যে ৬ জন মহেশখালীর এবং ৪ জন চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এসব স্বজনরা ১০ জনের পরিচয় নিশ্চিত করলেও মৃতদেহগুলো বিকৃত হওয়ায় কে কার আত্মীয় সেটি নিশ্চিত করা পুলিশের কাছে কঠিন হয়ে পড়েছে।

নিহত ১০ জনের নিকটাত্মীয় গতকাল রোববার বিকাল থেকে হাসপাতাল মর্গে শনাক্তের জন্য ছুটে আসেন। তারা জানিয়েছে, গত ৭ এপ্রিল নিহত জেলেরা ফিশিং ট্রলারে করে সাগরে মাছ ধরতে যায়। মালিক শামসুল আলমও ট্রলারে ছিলেন।

সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে উপস্থিত নিহত জেলেদের আত্মীয়স্বজনদের সাথে কথা বলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো আনোয়ার হোসেন, সিআইডি পুলিশের ডিআইজি মো হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এসময় ডিআইজি মো আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, ১০ জেলে নিহতের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। এটা আসলেই একটি বড় ঘটনা। এর পেছনে কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সিআইডি, পিবিআই পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের পর ‘ডিএনএ’ পরীক্ষা থেকে শুরু করে বেশকিছু আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরপরই স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে, এর আগে নয়।

এর আগে রোববার সকালে রশি দিয়ে ট্রলারটি টেনে কক্সবাজারের নাজিরারটেক মোহনায় নিয়ে আসেন স্থানীয় জেলেরা। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

Loading