তুচ্ছ ঘটনায় দুই পরিবারে সংঘর্ষ, নারী নিহত

প্রকাশিত: ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ৪, ২০২৩

কক্সবাজারের চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এক নারী নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও আটজন।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।

নিহত কুলছুমা বেগম (৪০) চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।

ঘটনায় উভয়পক্ষের অনন্ত ৮ জন আহত হওয়ার তথ্য দিলেও তাৎক্ষণিক তাদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ ও মো. জাকরিয়া পরস্পর প্রতিবেশী। শুক্রবার বিকালে জাকরিয়ার একটি পোষ্য ছাগল নুর মোহাম্মদ মালিকাধীন ক্ষেতের বেশকিছু বাদাম গাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পরিবাবের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এক নারী নিহত এবং অনন্ত ৮ জন আহত হন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, বিকালে জাকরিয়ার পোষ্য একটি ছাগল নুর মোহাম্মদের ক্ষেতের বেশকিছু বাদাম গাছ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুর মোহাম্মদের স্ত্রী কুলছুমা বেগম ছাগলটি বেঁধে রাখে। পরে জাকরিয়ার স্ত্রী ছাগলটি ফেরত চাইলেও দেননি। এ নিয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে শালিসের মাধ্যমে বিরোধ মিমাংসা করেন। পরে ছাগলটি ফেরত দেওয়া হয়।

শালিসের পর উভয়পক্ষের লোকজন নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। পরে ঘটনার জেরে কুলছুমার সঙ্গে জাকরিয়ার স্ত্রীর মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই পরিবারের পুরুষ সদস্যরাসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে উভয়পক্ষের অনন্ত ৯ জন আহত হয়।

স্থানীয় এ ইউপি সদস্য বলেন, “ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত ৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করেন। স্বজনরা জানিয়েছে, চমেকে নেওয়ার পথে কুলছুমা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।”

নিহতের লাশ চকরিয়া পৌঁছার পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।

Loading