গুলি-মর্টারশেলের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ , মার্চ ২, ২০২৪

মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের জেলা শহর মংডুর আশপাশের কয়েকটি গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

সীমান্তের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন দিন বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে নতুন করে শুরু হয় গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ। তবে গত দুই রাতে (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) লড়াইয়ের তীব্রতা আগের তুলনায় বেশি অনুভূত হয়েছে। গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এপারে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরশহর ও সাবরাং কেঁপে উঠছে।

টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, এক মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চললেও গত দুই দিন তার তীব্রতা কিছুটা বেড়েছে মনে হচ্ছে। তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরিত মর্টারশেলের বিকট শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। সীমান্ত এলাকার হাজারো মানুষ খেতখামারে যেতে পারছেন না। অনেক এলাকায় চিংড়ি-কাঁকড়া, সবজি ও ধান চাষ বন্ধ আছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ জালাল বলেন, মর্টার শেলের বিকট শব্দে তাঁর এলাকায় কম্পন অনুভূত হচ্ছে। রাতের বেলায় ঘনঘন কম্পনে শিশুদের ঘুম ভেঙে যাচ্ছে, অনেকে ভয়ে কান্নাকাটি করছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিপরীতে নাফ নদীর বুকে জেগে ওঠা তোতারদিয়া দুই সপ্তাহ আগে আরাকান আর্মি দখলে নেয়। এখন মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী সেটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারিতে আছে বিজিবি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, রাখাইনে নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তে গুলি এসে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি।

Loading