পটিয়ায় ২৪ ঘন্টা পার না হতেই নার্সিং পড়ুয়া ছাত্রী অপহরণের চেষ্টা!

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩

শনিবার দুপুরে পূরবী দে (১৯) নামের এক নার্সিং কলেজে পড়ুয়া ছাত্রী চট্টগ্রাম শহর থেকে তার নিজ বাড়ি পটিয়া উপজেলার কেলিশহর গ্রামে আসার জন্য বাস করে শান্তিরহাট পর্যন্ত আসে। ঐখান থেকে পটিয়া ডাকবাংলো মোড়ে আসার জন্য চার চাকার রেগুনাতে উঠে। ডাকবাংলো মোড়ে এসে গাড়িটি পৌঁছালে গাড়িটি সেখানে না থেমে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে ডাকবাংলো মোড় ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কলেজ ছাত্রী পূরবী বারবার গাড়ি চালককে গাড়ি থামানোর জন্য বললেও গাড়ি না থামিয়ে বাসষ্টেশন দিকে চলে যায়। সে গাড়ি চালকের অস্বাভাবিক গতিবিধি দেখে চিৎকার করতে লাগে। এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে অপহরণ থেকে সে নিজেকে বাঁচিয়ে ফিরে। তবে সে গুরতর আহত হয়। স্থানীয় হাবিবুর রহমান রিপন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তার অবস্থা গুরতর হওয়ায় পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কত্যর্বরত ডাক্তার রহিমা খাতুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকে) প্রেরণ করেন।
পূরবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শান্তিরহাঠ থেকে আমি পটিয়ার উদ্দেশ্যে রেগুনাতে উঠি। গাড়িটিতে কয়েকজন যাত্রী থাকলেও আমজুর হাঠ আসার আগেই তারা নেমে যায়। আমি একা হয়ে গেলে গাড়ির চালক ও হেলফার নিজেদের মধ্যে কি যেন ফন্দি বুনছিল। আমি তাদেরকে ডাক বাংলোমোড় নামব আগে থেকে বলি। ডাকবাংলো মোড় ক্রস করে যখন গাড়িটি চলে যাচ্ছিল, আমি তাদেরকে চিৎকার দিয়ে বলি নামিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা গাড়ি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে সামনের দিকে চলে য়ায়। আমি নিজেকে এদের হাত থেকে রক্ষার জন্য গাড়ি থেকে লাফ দিই।

এই ঘটনার আগের দিন পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের প্রবাসী মো: আইয়ুব খানের মেয়ে ৮ম শ্রেনিতে অধ্যনয়রত সুলতানা ইসলাম মিম (১৩)। পটিয়া মুনসেফ বাজারস্থ খালা মনির বাসায় আসার জন্য তার মা কামরুন নাহার গত শুক্রবার দুুপুরে সিএনজিতে তুলে তেন পটিয়া মুন্সেফ বাজারস্থ খালার বাসায় আসার জন্য। দুপুর ঘনিয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসলেও তার খালার বাসায় না পৌঁছালে চিন্তায় পরে যায় সবাই। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে পটিয়া থানার দ্বারস্থ হয় তার মা কামরুন নাহার।
অপরণকৃত মিম আক্তারের মা কামরুন নাহার সাংবাদিকবদের জানান, সিএনজি চালক আমার মেয়েটিকে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে সন্ধা ৬টার সময় স্থানীয়দেও পরামর্শে পটিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করতে যায়। নিখোঁজ ডায়েরী করতে গেলে ডিউটি অফিসার হারানো ডায়েরী নিতে গরিমসি করেন। ডিউটি অফিসার বলেন, ‘ওসি স্যারের থেকে জিজ্ঞেস করতে হবে’, ১২ ঘন্টা পার হয়নি। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন কোথাও আছে কীনা। পরবর্তীতে অনেক আকুতি মিনতি করার পর হারানো ডায়েরী গ্রহণ করেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গনমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আকুতি জানিয়ে বলেন, আমার মেয়েকে ফিরে পেতে সাহায্য আপনারা সাহায্য করুন।

এই বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, স্কুল, কলেজ ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরী হয়েছে। আমরা অপহরণকারীদের শনাক্ত করে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

Loading