বৈশ্বিক উষ্ণতার ক্ষতিপূরণে বিশেষ তহবিল গঠনে সমঝোতা

প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ২০, ২০২২

জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ক্ষতিপূরণে একটি বিশেষ তহবিল গঠনে সমঝোতা হয়েছে।

রোববার কপ-২৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো তহবিল গঠন করতে সম্মত হয়েছে।

বৈরি আবহাওয়ার বিপর্যয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর দাবি নিয়ে দুই সপ্তাহের বিতর্ক ও আলোচনার পরে সর্বসম্মতিক্রমে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল অনুমোদিত হওয়ায় সম্মেলনের প্রতিনিধিরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

মিশরে জাতিসংঘের আলোচনা শুরু হওয়ার সময় জলবায়ু-জনিত বিপর্যয়ের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার এজন্ডা ছিল না।

পাওয়ার শিফট আফ্রিকার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আদো বলেছেন, ‘এই আলোচনার শুরুতে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ এজেন্ডায় ছিল না এবং এখন আমরা ইতিহাস তৈরি করছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রমাণ হলো যে জাতিসংঘের এই প্রক্রিয়াটি ফলাফল অর্জন করতে পারে এবং বিশ্ব দুর্বলদের দুর্দশাকে স্বীকৃতি দিতে পারে। এটাকে রাজনৈতিক ফুটবল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়।’

জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখায় শতকের পর শতক ক্ষতিপূরণ টানতে হতে পারে এই ভয় থেকেই ধনী দেশগুলো গত ৩০ বছর ধরে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনায় বাধা দিয়ে আসছিল।

কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা, নাইজেরিয়া ও অন্যত্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিস্থিতি বদলে যায়, শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুটি মিশরের সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।

এ নিয়ে কূটনীতিকদের লাগাতার আলোচনা চলে। শনিবার রাতেও আলোচকদের বিধ্বস্ত চেহারা কারও নজর এড়ায়নি। তবে ঐতিহাসিক সমঝোতার ঘোষণা আসার পর সম্মেলনকক্ষের চিত্র বদলে যায়, সবার চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস আর স্বস্তির চিহ্ন।

গত ৯ নভেম্বর শুরু হওয়া জলবায়ু সম্মেলন ১৮ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বরং ১৯ নভেম্বর বাড়তি দিনে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয় সম্মেলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।

একইসঙ্গে এটিকে জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত ও বিস্তৃত চুক্তি হিসাবে উপস্থাপন করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন আহ্বান করেছে।

Loading