চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ , নভেম্বর ১৬, ২০২২

নগরীর ঐতিহাসিক রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগমের জোর প্রস্তুতি চলছে। চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভা সফলে চলছে নানা কর্মসূচি। জনসভার মাঠ প্রস্তুত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম, ওয়াসা, পিডব্লিউডিসহ সরকারি সেবা সংস্থাসমূহ সমন্বয় করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতারা ইতোমধ্যে পলোগ্রাউন্ড পরিদর্শন করেছেন। প্রায় দীর্ঘ এক দশক পর এই মাঠে অনুষ্ঠেয় জনসভাকে সর্বাত্মক সফল করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে।
জনসভায় যোগদানের আহ্বান জানিয়ে হরেক ব্যানার, পোস্টারে চেয়ে গেছে নগরী। বিগত ১২ অক্টোবর এই মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিএনপির চলমান বিভাগীয় সমাবেশ। মূলত ওই সমাবেশের পাল্টা হিসাবেই এ জনসভার আয়োজন করেছে সরকারি দল। আর তাই জনসমাগমের দিক দিয়ে বিএনপিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই চলছে যাবতীয় প্রস্তুতি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ জনসভার মাঠে চার লাখ নেতা-কর্মীসহ মাঠের বাইরে এক বর্গকিলোমিটারে ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন দলের নেতারা। জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি শোনানোর জন্য লাগানো হবে ৩০০ মাইক। গতকাল মঙ্গলবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের (সিআরবি) জিএমের দফতরে এক প্রস্তুতি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় জানানো হয়, জনসভার জন্য সাত ফুট উঁচু মঞ্চ তৈরি করা হবে। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হবে যথাক্রমে ১২০ ও ১৪০ ফুট। নৌকার আদলে তৈরী এই মঞ্চে বসতে পারবেন ২০০ অতিথি। প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ রেলওয়ের জিএম জাহাঙ্গীর হোসন, পিডিবি, পিডব্লিউডি, চট্টগ্রাম ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা।

সভা শেষে পলোগ্রাউন্ড পরিদর্শন করেন নেতারা। এ সময় এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, এই মাঠটি রেলওয়ের। সেখানে এত বড় জনসভা হবে। স্বাভাবিকভাবেই রেল কর্তৃপক্ষের অনেক দায়িত্ব। তাই রেলওয়ের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সবই করা হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। যাতে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাই নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উজ্জীবিত। আওয়ামী লীগে ভাড়া করে মানুষ এনে মাঠ ভরাতে হবে না।

এর আগে সোমবার জনসভার স্থান পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। এসময় তার সাথে ছিলেন সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

দলের নেতারা জানান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিজয় লাভের জন্য নেতাকর্মীদের করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেবেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে তিনি জনগণের কাছে আগামীর চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বার্তা দেবেন। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে অধিক সময় দিতে ও করোনা মহামারীসহ নানা কারণে তিনি দীর্ঘদিন উন্মুক্ত মাঠে দলীয় জনসভায় যোগ দেননি জানিয়ে নেতারা বলছেন এই মাঠে তিনি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন। আমরা এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই।

Loading