বশেমুরবিপ্রবিতে বাস চালক ও শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, আহত ২

প্রকাশিত: ৯:৫৭ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৩, ২০২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবির) বাস চালক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমেই বাস চালক ও শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডায়ের একপর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ আহসান ফয়সাল ও বাস চালক বাহরুল আহত হন। আহত শিক্ষার্থী ও ড্রাইভার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আজ রবিবার (৩ মার্চ) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় বাস ক্যাম্পাস থেকে কাশিয়ানি যাওয়ার পথে ঘোনাপাড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টায় ক্যাম্পাসে পুনরায় শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় বাস ড্রাইভারেরা। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন,
বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বাস ঘোনাপাড়ার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বাস ব্রেক করলো। পরে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি মারামারি হচ্ছে। আমরা অনেকেই দ্রুত বাস থেকে নেমে গিয়ে দেখি ১৫ নম্বর বাসের ড্রাইভার ও একজন ছেলে মারামারি করছে।

এসময় বাসের ড্রাইভারের শার্ট ছেড়া ও মুখে মোটরসাইকেলের চাবির আঘাতে রক্ত পড়ছিল। ঐসময় শিক্ষার্থী দাবী করেন ড্রাইভার রাফভাবে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। আরেকটু হলে সে বাসের নিচে চাপা পড়তো। এই কথার মধ্যে আরেক দফা মারামারির ঘটনা ঘটে।

ঐ শিক্ষার্থী আরও বলেন, সেখানে যারা উপস্থিত ছিলো সবাই তাদের মারামারি ঠেকানোর চেষ্টা করছে কিন্তু তারা থামে নাই। এরপর কয়েকজন ড্রাইভার এবং হেল্পার তাকে বেধরক মেরে ১৫ নম্বর বাসে করে দোলা পাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে বাস থামিয়ে তাকে আবারও মারধর করা হয়। তারপর ঐ বাস থেকে আমরা ছেলেটিকে নামিয়ে নিচে নিয়ে আসি।

ঘটনাস্থলে পরিবহন প্রশাসক তাপস বালা চলে আসেন। পরে পরিবহন প্রশাসকের নির্দেশে আহত শিক্ষার্থী ও ড্রাইভারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থী শেখ আহসান ফয়সাল বলেন, আমি রাইট সাইডেই ছিলাম। বাস চালক ভুল সাইডে গাড়িয়ে চালিয়ে আসেন। এসময় আমি সেখানে দাঁড়িয়ে যাই। তিনি আমার মা-বাবা নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে আমি বাসে গিয়ে গালি দিছেন কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বলেন আমি গালি দিয়েছি তো কি করবি? পরে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তিনি আমার কলার ধরলে নিজেকে সেভ করার সময় চাবি থাকায় এর খোছা লাগে ওনার গায়ে। পরে ৮-১০ জন ড্রাইভার মিলে আমারে মারধর করেন।

পরবর্তীতে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মোরাদ হোসেন সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ আহসান ফয়সাল এর সাথে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন ড্রাইভার (১) রবিউল ইসলাম, (২) আতিকুর রহমান (ঝন্টু)-কে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে বিধি মোতাবেক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Loading