সড়কে মোট মৃত্যুর ৫৪ শতাংশই মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায়

প্রকাশিত: ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২

দিনে দিনে বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। সড়কে মোট মৃত্যুর ৫৪ শতাংশই মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায়। বিগত বছর মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ২শ ২২ জনের। দুর্ঘটনার জন্য ট্রাফিক আইন না মানা, সড়কের ত্র“টিসহ বেশ কিছু কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু শহরেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে মোটরসাইকেল। রাজধানীতে চলছে অ্যাপসভিত্তিক মোটর সাইকেল। এছাড়া দেশের বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কেও বেড়েছে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল।

রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর পাশাপাশি সরকারি নীতির কারণে গেল কয়েক বছরে শুধু রাজধানীতেই মোটরসাইকেল বেড়েছে কয়েক গুণ।

এক পুলিশ সদস্য বলেন, “তাদের গতিটা এত বেশি থাকে এবং তারা সিগন্যাল মানতে চায় না। এই কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। প্রতিদিনই ঢাকা শহরের সড়কে হাজার দুয়েক নতুন মোটরসাইকেল যোগ হচ্ছে।“

ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই সড়কে ঝরছে প্রাণ। এদের বেশিরভাগই তরুণ। গেল বছর সড়কে শুধু মটোরসাইকেল দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ২ হাজার ২শ’ ১৪টি প্রাণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক আইন না মানাসহ নানা কারণেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সিসি লিমিট বাড়িয়ে দেয়ার নীতিকেও দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।

সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, “মোটরসাকেলকে অভিশাপ হিসাবে চিন্তা করা হয়, কারণ তরুণ প্রজন্ম অহেতুক মারা যায়। ভালো ভালো বাইক এসেছে, যেটা সরকার আরেকটা অনুমোদন দিয়েছে, আগে দেড়শ সিসির বেশি ছিল না। এখন সেই বারটাও উঠিয়ে দিয়েছে। যার ফলে এতো বেশি আকর্ষণীয় তরুণদের কাছে। এই নেশাগ্রস্ত তরুণদেরকে মোটরসাইকেলে আশক্ত করলে সে এমন মোটরসাইকেল কিনছে যেটা দিয়ে গাড়ি কেনা যায় কিন্তু সে গাড়ি কিনবে না। কারণ মোটরসাইকেলে থ্রিল আছে, কিন্তু থ্রিল তো কিল করে।“

এখনই বিষয়টি নিয়ে না ভাবলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে পরিবারগুলোতে নেমে আসবে মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয়।

ড. শামসুল হক বলেন, “দুই তিন বছরের মধ্যেই দুর্ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে ৭০ শতাংশ যার কোনও অস্তিত্ব ছিল না। পপুলেশনের মধ্যে ৫৪ শতাংশের মত মোটরসাইকেল হয়ে গেল এটাকে যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে দুর্ঘটনা কোনওভাবেই বন্ধ হবেনা। পুলিশ যত চেষ্টাই করুক না কেন, তাহলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।“

তরুণদেরকে অকারণে মটোরসাইকেলের দিকে না ঝুঁকে বাইসাইকেল চালানোর পরমর্শ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ।

Loading