আবিষ্কারের আগেই টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ , জানুয়ারি ২৬, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পরই সংক্রমণ প্রতিরোধে বিনামূল্যে টিকা প্রদানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের আগেই টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের বিষয়ে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। তারই ফলস্বরূপ দেশব্যাপী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে বিনামূল্যে কোভিড টিকাদানের কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যাবধি তা অব্যাহত রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটু) এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত আট কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে ১ম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে ২য় ডোজসহ মোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বের মতো দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশের সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে বুস্টার ডোজ প্রদান শুরু করা হয়েছে।

Loading