প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ , জানুয়ারি ২০, ২০২২

অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে দু’বার আলোচনা করেছি। সেই অফিসকে অবহিত করা হয়েছে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তারা যেন শিগগির আমাদের তারিখ দেয়, সেই তারিখ অনুযায়ী আমরা আলোচনায় বসতে রাজি আছি। লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, “এই আইন প্রধানত সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয়েছে। বাকস্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য করা হয়নি। সেটা যদি করা হতো এটা আইন হিসেবেই গণ্য হতো না। কারণ সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে রাখা হয়েছে। আমরা একটু আগে এই আইন করেছি, অনেক দেশেই করা হয়েছে এবং অনেক দেশ এই আইন করা আবশ্যক মনে করছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই আইন যখন বাস্তবায়ন করা হয় সেখানে কিছু মিসইউজ ও কিছু অ্যাবিউস হয়েছে। এগুলো যাতে না হয়, সারা পৃথিবীর যে বেস্ট প্র্যাকটিসেস, জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো নির্ণয় করে আমাদের দেশের জন্য কতটুকু প্রয়োজন সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা আমরা হয়তো বিধি দিয়ে গ্রহণ করবো। যদি প্রয়োজন হয় আইন কিছুটা সংশোধনও করা হবে।”

“ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে তা যেন মামলা হিসেবে গ্রহণ করা না হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি, আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী যেন সেলে পাঠানো হয়। সংবাদমাধ্যমের কর্মী যারা, যারা সাংবাদিক তাদের যেন ইমিডিয়েটলি অ্যারেস্ট না করা হয়, সেটার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা দেওয়ার পরে কিন্তু এই আইনে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করাটা অনেকাংশে কমে গেছে।”

দণ্ডবিধির ২২৮ ধারাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের তফসিলে যুক্তের দাবি জানিয়েছেন ডিসিরা। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, “পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবো।”

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন সংসদের চলমান অধিবেশনে পাস করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

ভূমির নিবন্ধন প্রক্রিয়া আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অনুশাসন দিয়েছেন এটা আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী যেখানে অনুশাসন দিয়েছেন সেখানে এ বিষয়ে আলোচনার কোনো অবকাশ থাকতে পাবে না।”

Loading