খালিয়াজুরীতে রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

মৃনাল কান্তি দেব মৃনাল কান্তি দেব

খালিয়াজুরী, প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ণ , আগস্ট ১৮, ২০২১

নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কল্যাণপুর প্রাইমারী স্কুল হইতে কৃষ্ণপুর ঈদগাহ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে উপজেলা সদরে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ের সর্বস্তরের জনগণ ও ভোক্তভোগী জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।

১৮ আগস্ট সকাল ১১ ঘটিকায় খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচী সম্পন্ন হয়।

রাস্তা নির্মাণ শুরু থেকে কাজের গুণগত মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।এমনকি এলাকার লোকজন মুটোফোন ও লিখিত অভিযোগ উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর প্রদান করলেও কোন অভিযোগ আমলে না নিয়ে দায় সাড়াভাবে কাজ সম্পন্ন করলে তা বর্ষায় পানিতে সামান্য ঢেউয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তাটি। এলাকাবাসীর দাবী নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও দায় সাড়া ভাবে কাজের জন্যই রাস্তাটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এলাকাবাসী আরও জানান, একই কাজে পরপর দুইবার ( রিভাইজ) বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। রিভাইজ বরাদ্দ ৬০ লক্ষ টাকা। রাস্তার কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙ্গে পড়ছে। এলাকাবাসী বলেন, কাজ সম্পন্ন করার আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে অগ্রীম টাকা উত্তোলন করার সুযোগ করে দেন উপজেলা প্রকৌশলী। এলাকার লোকজনের অভিযোগ আমলে না নেওয়ার কারণে এলাকাবাসী নির্মাণ কারী প্রতিষ্টান মেসার্স সারোয়ার জাহান ও দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের শাস্তি ও অপসারণ দাবী জানান। এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ৫ নং কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামীম মোড়ল, ইকবাল হোসেন, ছাত্রনেতা শাকিল আহম্মেদ,হাজী বাবুল মিয়াসহ এলাকার সচেতন মহলের অনেকেই। মানব বন্ধনে কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে শত শত মানুষ এই কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করে প্রতিবাদ জানায়। তারা সরকারী অর্থ অপচয় বন্ধসহ অসাধু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণসহ শাস্তির দাবী জানান। তাদের দাবী দায়িত্ব ও কান্ড জ্ঞানহীন উদাসীনতার জন্যই কল্যাণপুর হইতে কৃষ্ণপুর রাস্তার দুরাবস্থা। শুধু তাই নয় এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত খালিয়াজুরী উপজেলার সকল অবকাঠামো নির্মানে এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ভেন্তে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ গ্রামকে শহরে রুপান্তরের কার্যক্রম। প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয়ের মাধ্যমে সরকারের ভাব মূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তথ্য সূত্রে জানা যায় কল্যাণপুর হইতে কৃষ্ণপুর পর্যন্ত রাস্তাটির বরাদ্দ ১ কোটি ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৫২ টাকা। ঠিকাদার মোঃ সারোয়ার জাহান, জাহাঙ্গীরপুর মদন, নেত্রকোণা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও ২০২০-২১ অর্থ বছরে তা এখনো পূর্ণতা পায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলী বলেন প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী রাস্তাটি সাবমার্জিবল তাতে রাস্তা উচু করার ফলে মাটির কম্প্রেশান ঠিকমত না হওয়ায় মাটি সরে গিয়ে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাছাড়া ব্লকের সাইজ ২০০/ ২০০ মিঃমিঃ হওয়ায় বর্ষায় পানির চাপ নিতে পারে না। ব্লকের সাইজে কিছুটা ত্রুটি কারণে রাস্তার এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন আমরা চেষ্টা করছি রাস্তাটি যাহাতে স্থায়ীত্ব হয় সেইভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলীকে রিভাইজ বরাদ্দ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রিভাইজ বরাদ্দ প্রদান করা হয় নাই। প্রকল্পের নামে সরকারের অর্থ অপচয় রোধ, টেকসই কাজ বাস্কাতবায়ণ ও দূনীতিবাজ কর্মমকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবে সরকার এমনটাই আশা হাওড়পাড়ের জনগনের।

 

 

Loading