রাজশাহীর করোনা ইউনিটে আজও মৃত্যু ১৪

প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ , জুলাই ১২, ২০২১

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৪ জনের। তাদের মধ্যে ৬ জন করোনায় পজিটিভ ছিলেন। আর চারজন মারা যান করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর। এছাড়া একই সময় উপসর্গ নিয়ে মারা যান আরও চারজন। 

সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় ছয়জন এবং করোনামুক্ত হওয়ার পর পরবর্তি জটিলতায় মারা যান চারজন। বাকিরা মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন, নওগাঁর দুইজন, নাটোরের চারজন ও পাবনা জেলার একজন।

মৃত ১৪ জনের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। এদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এ নিয়ে চলতি মাসের ১২ দিনে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২০৪ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান গত এক জুলাই ২২ জন ও সবচেয়ে কম ৪ জুলাই ১২ জন। এর আগে গত জুন মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান ৪০৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ জন। সোমবার সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪৫৪টি বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৫১৮ জন। বাকিদের ওয়ার্ডের মেঝে ও বারাদ্দায় অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৫১৮ জনের মধ্যে ২২৯ জন করোনা পজিটিভ। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৩৬ জন। এছাড়া করোনামুক্ত হওয়ার পর পরবর্তি জটিলতার কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫২ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন।

শামীম ইয়াজদানী জানান, একদিনের ব্যবধানে রাজশাহীতে ফের বেড়েছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। রোববার দুইটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৫১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশে। এর আগের দিন শনিবার ছিল ২৫ দশমিক ০৫ শতাংশ।

গত ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে সেটি দুই দফা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে নতুন করে সরকারি ঘোষিত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলমান রয়েছে।

Loading