রোগীদের কাছে দ্বীগুন দামে ঔষধ বিক্রি

নোয়াখালীতে কভিড-১৯ হাসপাতালে অব্যবস্থপনায় চিকিৎসা

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ , জুলাই ৬, ২০২১

ইফতেখাইরুল আলম, নোয়াখালী

এক বছর পরেও নানা সমস্যায় জর্জরিত নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম স্থাপিত কভিড-১৯ এর হাসপাতালটি।অব্যবস্থাপনা কভিড হাসপাতালে নিরাপদ পানি ও ঔষধ সংকটে।হাসপাতালটি ব্যবহারের অনুউপযোগী,পরিত্যক্ত টয়লেট ও ময়লা আবর্জনা জমে থাকে দিনের পর দিন, যেন দেখার কেউ নেই।

১’শত ২০ বেডের এই নোয়াখালী কভিড-১৯ হাসপাতালে রয়েছে এক ধরনের দালাল চক্র। আর এ সব দালাল চক্র সেন্টিগ্রেড বিভিন্ন ফার্মেসী ক্লিনিক হাসপাতালের সাথে জড়িত।প্রতিদিন তারা কভিড হাসপাতালে এসে হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের যোগ সাজেসে নতুন রোগী ও পুরাতন রোগীর ঔষধদের সিলিপ গুলি তারা নিয়ে রোগীর লোকদের ঔষধদের কমিশন দিবে বলে ১৮’শত টাকার ইনজেকশনের দাম নিচ্ছে ৪ হাজার এবং ৩’শত টাকার ইনজেকশনের দাম নিচ্ছে ৮’শত টাকা হারে।কতেক ভক্ত-ভুগী রোগীর লোকজন অভিযোগ করে বলেন,কভিড হাসপাতালে সকালে নাস্তা ও দুপুরে এবং রাতে দুই বেলা ভাত দেয়,কিন্তুু কোন প্রকার ঔষধ দিচ্ছেনা রোগীদের।রোগীরা দালাল চক্রদের কাছ জিম্মি হয়ে দ্বিগুন দামে ক্রয় করছে ঔষধ। হাসপাতালে শুধু অক্সিজেনটি প্রি-দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।কভিড হাসপাতালটি অ-পরিষ্কার দুর্গন্ধে পরিপূর্ণ।হাসপাতালে নেই কোন ক্লিনার।দুইজন ওয়ার্ডবয় মিলে দুটি ওয়ার্ডে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন রোগীর দায়িত্বে থেকে ও তারা দালাল চক্রদের সাথে জড়িত থেকে দিনের পর দিন রোগীদের অবহেলা করছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশা চালক জানান,নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে তার ভাইকে সর্দি,কাশির কারনে গত ৪ দিন আগে কভিড হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হলে এ ৪ দিনে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাদের।কিন্তুু রোগীর কোন পরিবর্তন নেই। এমনেইভাবে আরেকজন বর্গা গরু বিক্রি করে এনে হাসপাতালে চিকিৎসা চালাচ্ছে রোগীর।ভুক্তভোগীদের দাবি টাকা খরচ হচ্ছে অতছ সেই ভাবে সেবা পাচ্ছে না রোগীরা।নোয়াখালী কভিড-১৯ হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা অপরিষ্কার ঔষধ নেই,তেমন ভালো সেবা নেই।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা মো.মাসুম ইফেখারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নোয়াখালী পৌরসভা নিজ দায়িত্বে কভিড-১৯ এর হাসপাতালে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তুু কেন ময়লা আবর্জনা নিচ্ছে না।আমরা পৌরসভার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Loading