নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জনের ক্যাশিয়ার ইমরুল বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:২৯ অপরাহ্ণ , জুলাই ৪, ২০২১

ইফতেখাইরুল আলম,নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার মো.ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া ব্যাক্তিদের কাছ থেকে সিভিল সার্জন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতি ও রবিবার এই দুই দিনে ৫১ জনের কাছ থেকে জন প্রতি ১ থেকে ২ হাজার টাকা হারে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ক্যাশিয়ার ইমরুল কায়েস।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোডের অধীনে ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যাক্তিদের চাকরিতে যোগ দানের আগে সিভিল সার্জনের কাছ থেকে সনদটি নিতে হয়।
এ ঘটনার পর থেকে চাকরি প্রত্যাশীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।ভুক্ত-ভোগীরা ঐ র্ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি জানান।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোডের অধীনে ইন্সপেক্টর পদে নোয়াখালী জেলা থেকে ৫১ জন কে চুড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ শে জুন তাদের নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে যোগ দান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ভুক্তভোগী একাধিক নারি ও পুরুষ অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ি স্বাস্থ্য পরিক্ষা সরকারী হাসপাতালে হওয়ার কথা থাকলেও তাদের কে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে পরীক্ষা করতে ২ হাজার ৫’শত টাকা হারে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পর ঐ পরীক্ষার পলাপল নিয়ে ফিটনেস সাটিফিকেট নিতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় আসলে সেখানে কোনো প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া তাদের কাছ থেকে জন প্রতি ১ থেকে ২ হাজার টাকার করে হাতিয়ে নেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার ইমরুল কায়েস তাদের কাছ থেকে সিভিল সার্জনের কথা বরে এ টাকা গুলি আদায় করেছেন। ৫১ জন পরীক্ষাথীর কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন মেডিক্যাল অফিসার ঐ প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে পরিক্ষানিরিক্ষা করিয়ে আনা কগজ পত্র দেখে তাদের কে একটি করে সনদ দিয়েছেন।তাদের থেকে যে টাকা নেওয়ার হয়েছে সে টাকার কোনো রশিদ দেওয়া হয়নি। এই সনদ হচ্ছে সরকারী চাকরিতে নিয়োগ প্রাপ্তদের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক সনদ। সিভিল সার্জন কার্যলয়ের একজন স্টাফ জানান ৫১জন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বনিম্ন এক হাজার এবং সর্বোচ্ছ দুই হাজার টাকা করে আদায় করে ক্যাশিয়ার ইমরুল কায়েস।

ক্যাশিয়ার ইমরুল কায়েস বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি জানতে চাইলে তিনি অস্কীকার করে বলেন,তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট তিনি কারো কাছ থেকে সিভিল সার্জন কর্মকর্তা নাম ভাঙ্গিয়ে কোন টাকা পয়সা নেয়নি।
এ বিষয়ে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য সনদের জন্য কোনো টাকা নেয়ার বিধান নেই। তবে ডোপটেষ্ট বাহিরে করা হয় । সেখানে প্রাইভেট হাসপাতালে কত টাকা নেওয়া হয়েছে তিনি জানেন না। তার কার্যালয়ে টাকা আদায়ের বিষয়টি তিনি জানেনা তবে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং
টাকা নেওয়ার বিষয় টি প্রমানিত হলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন।এ ব্যাপারে খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সিভিল সার্জন কে নির্দেশ করেছেন তিনি।

Loading