আশুলিয়ায় খাতার মলাট থেকে কফিল হত্যার রহস্য উদঘাটন, নারী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ , জুন ১৯, ২০২১

ঢাকার আশুলিয়ায় খাতার মলাটের সূত্র ধরে ৩ মাস পর কফিল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক রিতা বেগম নামে প্রতিবেশী এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে গ্রেফতার নারীকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে একইদিন ভোর রাতে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার রিপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী রিতা বেগম নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রিতা বেগম (২৯) নওগাঁ জেলা সদরের চকরামচন্দ্র মহল্লার খাইরুল ইসলামের মেয়ে। নিহত কফিল উদ্দিন (৬০) জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পাতুসি গ্রামের মৃত কাজী মুনশী শেখের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের ডাক্তার শাফকাথ হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, গত ২২ মার্চ আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের ডা. সাফকাতের বাড়ির কেয়ারটেকার কফিল উদ্দিনের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলোনা। তবে ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী এক নারী পালিয়ে যায়। সেই ঘরে তল্লাশী করে শুধু একটি খাতার মলাট পাওয়া যায়। সেই মলাটে শিশুর নাম ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই দীর্ঘ ৩ মাস পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ওই নারীর বরাত দিয়ে সুদীপ কুমার গোপ বলেন, কফিল উদ্দিন সাফকাত হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। আর ওই বাসায় রিতা বেগম ভাড়া থাকতেন। সেখানে ভাড়া থাকায় কফিল উদ্দিনের সাথে ভাল সম্পর্ক হয় রিতার। এই সুবাদে কফিলের তরকারি মাছ ইত্যাদি কেটে দিয়ে সহযোগিতা করতেন রিতা। ঘটনার দিন রাতে কফিলের মাছ কেটে তার ঘরে দিতে গেলে কফিল কুপ্রস্তাব দেয় রিতাকে। রাজি না হলে জোরাজোরি করে কফিল। এসময় রিতা তার গলা চেপে ধরলে কপিল মেঝেতে পড়ে মারা যায়। আগে থেকেই শ্বাস কষ্টের রোগী ছিলো কফিল উদ্দিন। ঘটনা আড়াল করতে কফিল উদ্দিনের হাতে ইন হেলার দিয়ে সকালে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায় রিতা। সাথে ছোট বোন ও শিশুসহ সব প্রমান উধাও করেই চম্পট দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের চৌকসতা ও একটি খাতার মলাটের সূত্র ধরে ধরা পড়লেন হত্যাকারী রিতা। এ ঘটনায় ৩ মাস আগে অপমৃত্যুর মামলা হলেও শুক্রবার সকালে নিহতের স্ত্রী হানুফা বেগম আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে রিতা বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়।

Loading